

মোঃনাজমুল হাসান (অপু):বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ একজন থানা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার অপর জন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার। তাদের টার্গেটই ছিলো মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিতে গিয়ে নানা জটিলতায় পরে সনদ নিতে ব্যার্থ ব্যাক্তিরা। মাত্র ৫ লাখ টাকায় সদন পাওয়ার মৌখিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই দুই মুক্তিযোদ্ধা। এমনই এক অভিযোগ এনে ওই দুই মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ছাইদুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। তিনি আরও জানান আওয়ামী সরকারের দোসরদের অদৃশ্য থাবার ভয়ে এতো বছর মুখ খুলতে পারেনি।
অভিযুক্ত ওই দুই মুক্তিযোদ্ধা বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালীয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামের মৃত সেরাজ উদ্দিন তালুকদারের ছেলে এবং সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. নূর উদ্দিন তালুকদার (৭২), তিনি বর্তমানে বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি রোড এলাকায় বসবাস করে। অপরজন একই গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী হাওলাদারের এবং সাবেক ইউনিয়ন ডেপুটি কমান্ডার মো. আ. গনি হাওলাদার (৭০)। তিনি গ্রামে বীর নিবাসে বসবাস করে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা নামকরণ ও তালিকাভুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন অফিসে টাকা দিতে হবে মর্মে ছাইদুর রহমান খানের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে তৎকালীন উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার ও ইউনিয়ন ডেপুটি কমান্ডার। সাবেক ডেপুটি কমান্ডারের সাথে ছাইদুর রহমান খানের ৫ লাখ টাকায় সনদ কেনা বেচার চুক্তি হয়। তবে শর্ত থাকে যে, ৩ লাখ টাকা নদগ ও ২ লাখ টাকা সনদ দেওয়ার পরে বুঝিয়ে দিবে। ছাইদুর রহমান চুক্তি অনুযায়ী ৩ লাখ টাকা দিলে ওই দুই মুক্তিযোদ্ধা আজকাল বলে ঘুরায়।
বেশ কিছু দিন পর ছাইদুর রহমান খানকে জানান, মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরি হয়েছে তবে চুক্তি অনুযায়ী ২ লাখ টাকা দেওয়ার পরে সদন হাতে দেওয়া হবে। তিনি বাকি ২ লাখ টাকা দিয়ে দিলে টাকা নেওয়ার পর নানা টালবাহানা করতে থাকে ওই ২ ডেপুটি কমান্ডার। পরক্ষণে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাইদুর রহমান খানের মুক্তিযোদ্ধা সনদ হবে না এবং টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকার কথা অস্বীকার করে।
মামলার বাদী মো. ছাইদুর রহমান খান বলেন, আমি প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়েছি। আমি টাকা আত্মসাৎ এর সঠিক বিচার চাই। এটি বর্তমানে তালতলী মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্তাধীন আছে।
সাবেক পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল গনি বলেন, ছাইদুর রহমান খানের সাথে আমার কোনো শত্রতা নেই তবে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমার সাথে কখনও মামলার বাদীর টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।
সাকেব উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. নূর উদ্দিন তালুকদার প্রথমে বক্তব্য দিতে রাজি না হয়ে পরক্ষণে বলেন ছাইদুর রহমানের আনীত অভিযোগ মিথ্যা।