করোনা প্রতিরোধে মেয়র নাছিরকে সভাপতি করে কমিটি
চট্টগ্রাম : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সভাপতি করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রেরিত আদেশের আলোকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৮ মার্চ) চসিক নতুন কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে কমিটি গঠন বিষয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হাসান শাহরিয়ার, সিভিল সার্জন ডা. শেখ মো. ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হুমায়ুন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম আকতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত কমিটি জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন, সচেতনতা সৃষ্টি, প্রয়োজনে কোয়ারেনটাইনসহ প্রয়োজনীয় আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ জাতীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে। আমরা জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণসহ নানামুখী প্রচারণা চালাচ্ছি। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদেরকে আত্মসচেতন হয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য মেয়র আন্তরিক অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, চীনের উহানে যখন করোনাভাইরাস বিস্তারের খবর পাওয়া গেছে। তার তিনদিন পর থেকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পত্রিকার মাধ্যমে নগরবাসীকে সচেতন করা হয়। করোনাভাইরাস রোগীর জন্য নগরে চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ৫০ শয্যার ফৌজদারহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রেলওয়ে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালও ব্যবহার করা যাবে।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনরত অবস্থায় ৯১ জন আছে। গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে ৫৬৭ জন এসেছে। তাদের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা নিয়েছি। হোম কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ এবং চেয়ারম্যানদেরকে জানানো হচ্ছে। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত থানাকে জানানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার হুমায়ুন বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেসব রোগীর হাঁচি-কাশি, জ্বর-গলা ব্যথা সমস্যা আছে তাদেরকে নির্দিষ্ট কক্ষে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদেরকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আইইডিসিআরকে জানানো হবে। এরপর করোনাভাইরাসের জন্য যেসব হাসপাতাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে সেখানে পাঠানো হবে।
যৌথসভায় সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা উপস্থিত ছিলেন।