সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা: গ্রাম্য এলাকা থেকে একজন নারীকে রাজনীতির মাঠে আনা খুবই কঠিন কাজ। তবে যারা দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে সমাজের কল্যাণে রাজনীতির মাঠে কাজ করেন, তাদেরকে কোনো অবজ্ঞা বা লাঞ্চনা না করে মর্যাদা দিতে হবে। বসাতে হবে সম্মান জনক আসনে। নতুবা সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। নেত্রকোনা জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজা আক্তার একথা বলেন।তিনি বলেন, আমি বিগত দিনে জেলা শহরের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে এসে প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের উশৃংখল নেতাকর্মীদের হামলার ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছি। এটি আমার মনের মধ্যে বিরাট কষ্ট দিয়েছে। আমি এ লাঞ্চনার কথা কোনদিন ভুলতে পারবোনা। চিরদিন হৃদয়ে কালো দাগ হিসেবে গেঁথে থাকবে। আমার সেই কষ্টের বিষয় থেকেই বলছি, আমি যেমন কষ্ট পেয়েছি, আমি কারাবন্দি হয়েছি, লাঞ্চিত হয়েছি আর কোনো নারীকে যাতে এরকম লাঞ্চনার শিকার না হতে হয় সেই জন্যই সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার অভিজ্ঞতার ফসল শেয়ার করছি। (১লা সেপ্টেম্বর) রবিবার এই প্রতিনিধির সাথে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজা আক্তার বলেন, বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা, মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। বাড়িতে শান্তিতে খেতে ঘুমতে পারেনি নেতাকর্মীরা, তিনি আরও বলেন, আমি একজন নারী তারপরও আমার উপর অনেক মিথ্যা মামলা হয়েছে। এ যন্ত্রনা সহ্য করার পরও ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরও আমার এলাকায় প্রতিপক্ষের কোনো দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করতে আমি দেইনি। কারণ বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি কোনো ফ্যাসিবাদী দল নয়, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয়, বিএনপি জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। পরিশেষে তিনি বলেন, আমরা কোনো হিংসার রাজনীতি চাই না,আমরা চাই দেশের সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর সোনার বাংলা গড়তে।