নেত্রকোনায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, আটক -১৬
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা: নেত্রকোনায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ অভিযানে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাহাড়ি খরস্রোতা সোমেশ্বরী নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম. রকিবুল হাসান। শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বালুমহাল থেকে অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটককৃত ১৬ জনকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও নদী থেকে উত্তোলনকৃত প্রায় ১১শত ফুট বালু জব্দ করা হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামবাড়ী গ্রামের বোরহান উদ্দিন (১৮), মো. আলম হোসেন (২২), মো. আবু হানিফ (১৮), মো. হাবিলুল মিয়া (২০), মো. শরিফুল ইসলাম (১৮), উপজেলার গঁাওকান্দিয়া ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মো. আল মামুন (২০), মো. মাসুম (২৬), একই ইউনিয়নের ইশ্বরখোলা গ্রামের মো. আনাস মিয়া (৩২), মো. সাকিব হোসেন (১৮), মো. শহীদুল ইসলাম (২১), মো. হারুন রশীদ (৩৫), মো. রাসেল (২৯), মো. বাদশা মিয়া (৩৭), মো. হোসেন আলী (৪৪), একই ইউনিয়নের দক্ষিন শংকরপুর গ্রামের মো. শামীম (২৯) ও মো. আনারুল বিশ্বাস (২৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলায় ৫টি বালু মহাল আইনী জটিলতায় চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে একটি চক্র রাতের আঁধারে ট্রলারের মাধ্যমে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে সোমেশ্বরী নদীতে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। পরে ভোরে অভিযানে ১৬ জনকে চোরা কারবারিকে আটক হয়।
এব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ডপ্রাপ্তদের থানায় সোর্পদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাদের কারাগারে প্রেরণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।দুর্গাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এম. রকিবুল হাসান জানান, রাতে সোমেশ্বরী নদী থেকে ট্রলার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবরে অভিযান চালিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনায় এ অভিযান চালানো হয় এবং পরবর্তীতে অভিযান চলমান থাকবে।