আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে আলোচনা
ইউক্রেনে এবং ইউক্রেন সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনতে আইওএম এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে সরকার। তবে আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কাউকে দেশে আনা সম্ভব নয়।
সোমবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারে প্রতিটি দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ইউক্রেনে এবং ইউক্রেন সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনতে আইওএমের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, এরইমধ্যে পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং মালদোভা সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি ইউক্রেন ছেড়েছে।
এদের মধ্যে ৪৫ জন বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বে আছে। বাকিরা নিজদের খরচে থাকার ব্যবস্থা করেছে।
ইউক্রেন ছেড়ে আসতে পারাদের মাত্র ৬০ জনের মতো এখনি দেশে ফিরতে চায়। বাকিরা আপাতত ইউরোপের কোনো দেশে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন।
এর বাইরে এখনো ইউক্রেনে অন্তত ৭০০ বাংলাদেশি রয়ে গেছেন। তাদের নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা নিশ্চিত করে সীমান্তের দিকে রওনা দেবার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
১৫ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দেয় পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস।পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ইউক্রেনে আনুমানিক প্রায় এক থেকে দেড় হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন এবং তারা উৎকণ্ঠিত অবস্থার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন লায়লা হোসেন।