ঝালকাঠিতে নেই নৌ ফায়ার স্টেশন
ঝালকাঠি জেলায় কোনো নৌ ফায়ার স্টেশন নেই। অথচ দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় তিনটি কোম্পানির জ্বালানি তেলের ডিপো এ জেলাতে। ফলে নদী পথে লঞ্চ ও তেলবাহি জাহাজে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেই বাড়ছে প্রাণহানি ঘটনা। সম্প্রতি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্টরা।
সুগন্ধা, বিষখালী, ধানসিঁড়ি, গাবখান ও বাসন্ডা এ ৫ নদীর মোহনা ঘেষে গড়ে উঠেছে দ্বিতীয় ঝালকাঠি বন্দর। খুলনা ও মোংলা বন্দরে প্রবেশের জন্য রয়েছে দেশের বৃহত্তম কৃত্রিম চ্যানেল গাবখান। ব্যবসা বাণিজ্যে সমৃদ্ধ এই শহরকে এক সময় দ্বিতীয় কোলকাতা বলা হতো।
সুগন্ধার তীরেই রয়েছে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কোম্পানির তেলের ডিপো। নদী পথেই কার্গোতে আসে অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল। অথচ ঝালকাঠির এই নদী পথ অরক্ষিত।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ কুতুবী জানান, ঝালকাঠিতে ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় শ্রেণির একটি ফায়ার স্টেশন। গত ৬ বছর আগে এটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা প্রস্তাব পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুগন্ধা নদীর তীরে নৌ ফায়ার স্টেশন করার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সম্প্রতি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে ৪৭ জন ও সাগর নন্দনী তেলের জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।