

সোহেল খান দূর্জয়,নেত্রকোনা প্রতিনিধি: তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে(২৮ নভেম্বর )রবিবার, পূর্বধলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দুটিতে জয় পেয়েছে আ.লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং আটটিতে জয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে চেয়ারম্যান পদে ৫০ প্রার্থীর মধ্যে ২০ প্রার্থীর জামানত হারিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ৪৪-এর ৩ ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে ভোটারদের দেয়া মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
জামানত বাজেয়াপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- পূর্বধলা ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত (হাতপাখা) মো. আব্দুর রাশিদ ৭১৫ ভোট, বাংলাদেশ আ.লীগ মনোনিত মো. আব্দুল কাদির (নৌকা) ৩৫৯ ভোট, এরশাদ হক স্বতন্ত্র (ঘোড়া) ২৬৫ ভোট, মো. আজিম উদ্দিন খান স্বতন্ত্র (আনারস) ১২১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। মোট বৈধ ভোট ১৭১২১। আগিয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মো. সালেহ্ (হাতপাখা) ৭২৯ ভোট ও বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি মনোনিত সাবিকুল আনিছ (কাস্তে) ৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। মোট বৈধ ভোট ১৬৫৮১।
নারান্দিয়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মো. তোফাজ্জল ইসলাম (হাতপাখা) ২৮৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। মোট বৈধ ভোট ১৪৯৮৭। জারিয়া ইউনিয়নে মো. কাজল মিয়া স্বতন্ত্র (আনারস) ৪২১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। মোট বৈধ ভোট ১৪৬০৫। বিশকাকুনী ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মো. আব্দুল মজিদ (হাতপাখা) ৩০৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। মোট বৈধ ভোট ১৪৯৫৮।
ঘাগড়া ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মো. নজরুল ইসলাম (হাতপাখা) ১৪৫৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। মোট বৈধ ভোট ১৬৫৯৩। বৈরাটী ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মোহাম্মদ আলী তালুকদার (হাতপাখা) ৫১৮ ভোট ও মো. জহিরুল ইসলাম জজ মিয়া স্বতন্ত্র (মোটরসাইকেল) ২০৫। মোট বৈধ ভোট ১৪০৬২। হোগলা ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মোহাম্মদ আব্দুল গফুর (হাতপাখা) ১৫৩ ভোট, মো. ফারুক খান (ঘোড়া) ৮৩ ভোট, হুমায়ূন কবীর (আনারস) ১৭ ভোট ও বুলবুল মীর (মোটরসাইকেল) ১৬৬৬। মোট বৈধ ভোট ১৭৬১৯।
গোহালাকান্দা ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন মনোনিত (সিংহ) মো. শফিকুল ইসলাম ১০০৬ ভোট ও এম.আর.বি জাকির হোসেন তালুকদার স্বতন্ত্র (মোটর সাইকেল) ৪২ ভোট পেয়েছেন। মোট বৈধ ভোট ১৭৩৪৫। খলিশাউড় ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মো. মাজহারুল ইসলাম (হাতপাখা) ৮৭৭ ভোট ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী স্বতন্ত্র (ঘোড়া) ১৫১২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
মোট বৈধ ভোট ১৬০৮৭ এদিকে আ.লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির বলেন, “দলের নেতা-কর্মীরা দুই গ্রুপের হওয়ায় আমার পক্ষে একজনও কাজ করে নাই। গতবার নির্বাচনে নৌকা নিয়ে দুই হাজার ৯০০ ভোট পেয়েও জয় পাইনি। ওই নির্বাচনেও দলের অনেক নেতা-কর্মী আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। গত নির্বাচনে তবু কিছু নেতা-কর্মী আমার হয়ে কাজ করে ছিলেন।কিন্তু এবার কেউই নেই আমার সঙ্গে। তাই নির্বাচনে আমার এই বিপর্যয়।”
উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন মালু বলেন, “আব্দুল কাদিরের অভিযোগ সত্য নয়। দলের ভেতরে কোনো কোন্দল নেই। বিভাজন নেই। এলাকায় কাদিরের জনপ্রিয়তা নেই। এ কারণেই তার ফল এমন হয়েছে।