চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল নেই, দাবি নকশাকারী প্রতিষ্ঠানের
চট্টগ্রাম সংবাদ: চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের র্যাম্পে কোনো ফাটল নেই বলে দাবি করেছে নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপিএম-এর কারিগরি দল। বুধবার সকালে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এমন দাবি করেন তারা।
ডিপিএমের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে জায়গাটি ফাটল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেটি মূলত কনস্ট্রাকশন। এরপরও পিলারের অভ্যন্তরে কোনো ফাটল আছে কি না তা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হবে।ম্যাক্সের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মনির হোসেন মনির হোসেন বলেন, “ডিজাইনার প্রতিষ্ঠানের দল পরিদর্শন করেছে। উনাদের অবজারভেশন হল, কলামগুলোতে যে ফাটল দেখতে পাচ্ছি, সেটা ফাটল না। এটা কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট।
“কলামের সাথে টেক্সচারের কাস্টিংয়ের যে জয়েন্ট, সেই সাটারিংটা প্রপার পজিশনে ছিল না। কাস্টিং করার সময় ডিসপ্লেস হয়ে গেছিল। যার কারণে একটা স্পেস সৃষ্টি হয়। সাটার টু সাটার জয়েন্টে ফোম ব্যবহার করা হয়। যাতে কোনো ওয়াটার লিকেজ না হয়। সেই ফোমটা আছে। এতদিন হয়ত চোখে পড়েনি। অরিজিনালি এটা কোনো ফাটল না।”
নকশাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপিএমের পরিচালক শাহ জাহান আলম বলেন, “উপরে উঠে দেখলাম, ওটা ক্র্যাক না, কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট। কনক্রিট করার সময় সেটা এক্সপোজ হয়ে যায়। ঢালাইয়ের সময় সাটারটা বের হয়ে আসে। মূল স্ট্রাকচারে কোনো সমস্যা নেই। নির্মাণ ত্রুটির কিছু না। তবে হয়ত আরও পলিশড হতে পারত কাজটা।”
বাইরে থেকে দেখা চিড়ের বিষয়ে তিনিও বলেন, “বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে সেটা ফোম। সাড়ে তিন বছর আগেও সেটা ছিল। হয়ত কেউ খেয়াল করেনি। তবে ভিতরে কোনো ক্র্যাক আছে কি না, তা আরও তদন্ত করে দেখব।”
এদিকে, প্রাথমিকভাবে ফাটল খুঁজে না পাওয়ায় র্যাম্পটিতে ৫ টনের কম ওজনের যেকোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলেও জানান তারা।
সোমবার রাতে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই পুলিশ ওই র্যাম্পে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরনগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত ১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার এ ফ্লাইওভারটি ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয়। সিডিএ ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করে।