★যুব মহিলা লীগকে নিয়ে সতর্কতামূলক মন্তব্য করলেন: শিউলী
সাইফুল ইসলাম তাহসান: পাপিয়ার পাপে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ। র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর থেকে পাপিয়ার পাপ সাম্রাজ্য নিয়ে মুখ খুলছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সাবেক এবং বর্তমান নেতাকর্মীরা। আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত সবাই পাপিয়া কাণ্ডের কারণে বর্তমানে বিব্রত ও লজ্জিত। স্কুল জীবনে একটা ইংরেজি প্রবাদ বাক্য পড়েছিলাম আগাম সর্তকতা পরবর্তীতে নেওয়া প্রতিকারের চেয়ে উত্তম। খুব সহজ বোধগম্য একটি কথা। ব্যক্তিজীবনে কমবেশি আমরা সবাই তা মেনে চলার চেষ্টা করি। কথাগুলো বলছি এই কারণে যে,বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ আজ স্বর্ণ শিখরে। সারা বিশ্ব আজ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে ভাবে,কি করে বাংলাদেশ হেনরি কিসিঞ্জারের সেই দাম্ভিক উক্তিকে সজোরে চপেটাঘাত করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে শুধুমাত্র কৃষি নির্ভর দেশ হতে রপ্তানি নির্ভর দেশে পদার্পণ করেছে। নিশ্চয়ই একদিনে তা সম্ভব হয়নি।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে তৈরি করার জন্য শেখ হাসিনা আপা দিবা রাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে এসেছেন। ঠিক এই সময় বহু তথাকথিত নেতা নেত্রী অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সরকারদলীয় রাজনৈতিক দলে প্রবেশের চেষ্টা করবে এটাই তো স্বাভাবিক। এদের কোন রাজনৈতিক দর্শন নেই, নেই দলের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা। এরা কেউ ভয়ঙ্কর বিএনপি-জামাত কিংবা আওয়ামী বিদ্বেষী পরিবার থেকে আগত। দলের সুসময়ে পদ-পদবী ভাঙ্গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অর্থ উপার্জন এদের নেশা এবং পেশা ,তা যেভাবে হোক না কেন ! প্রশ্ন হচ্ছে এদের আমরা দলে স্থান দিব কেন? দলে নতুনদের আগমন হতেই পারে, তবে কেন পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই না করে এত বড় বড় পদে তাদের বসিয়ে দিব? যদি ভুল করে হয়েই থাকে তবে কেন পরবর্তীতে তাদের বহিষ্কার করা হলো না? কেননা বিভিন্ন সময়ে এই সমস্ত তথাকথিত নেতানেত্রীদের কর্মকাণ্ড বিভিন্ন মাধ্যমে জানার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার নিজ হাতে এক ক্রান্তিলগ্নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সময়কার কথা কারো অজানা নয়। সেই সময় আমরা শুধুমাত্র দেশের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছিলাম তা কারো অজানা নয়। কতটা অত্যাচারিত হয়েছিলাম বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ক্যাডার বাহিনী দ্বারা তা কারো অজানা নয়। লোভ লালসা পদ-পদবী যে তখন মুখ্য বিষয় ছিল না তাও কারো অজানা নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়বো বলে রাজপথে রক্ত ঘাম ঝরিয়ে ছিলাম। জেল-জুলুম,দ্রুত বিচার আইনে মামলা আর অত্যাচার ছিলো প্রায় নিত্যদিনের সঙ্গী। এমন একটি সুসংগঠিত ত্যাগী দল বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত। তাই সকল ভাই-বোনদের বলবো বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কিংবা ত্যাগী নেত্রীদের কালিমা লেপন না করে সেই সকল ধান্দাবাজ,চরিত্রহীন-লম্পট,অর্থ সম্পদ লোভী নেতানেত্রীদের কুকর্ম প্রকাশ করে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগকে সুসংহত করে পক্ষান্তরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার হাতকে শক্তিশালী করি। পরিশেষে বলবো সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য, নবাগতদের ভেড়ানোর পূর্বে শতবার যাচাই-বাছাই করা হোক, কোন প্রলোভন যেন কোনভাবেই আমাদের মধ্যে কাজ না করে। (বিঃদ্রঃ-জাকিয়া সৃজনী শিউলি, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া