সৈয়দপুরে ফাইলেরিয়া হাসপাতালের গৌরব ফেরাতে নুতন পরিকল্পনা
রাজু আহম্মেদ নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত গোদ রোগের চিকিৎসা এশিয়া মহাদেশের একমাত্র ফাইলেরিয়া হাসপাতালটির গৌরব ফেরাতে নতুন উদ্যোমে কর্ম শুরু করা হয়েছে। ৮ জুন হাসপাতালের হলরুমে পরিচালনা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, হাসপাতালে সেবা ও অভ্যন্তরিন হিসাব পরীক্ষক বিশিষ্ট সমাজসেবী সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই হাসপাতালটি সৈয়দপুরবাসী তথা উত্তরবঙ্গের জন্য গর্ব। এটি পুরোদমে সচল, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ভবনের সংস্কার কাজ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন মতে ডাক্তার, নার্স ও প্রয়োজনীয় স্টাফ নিয়োগ দেয়া হবে শিগগির।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল এ্যাসিসেয়শনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম তুহিন বলেন, থ্যালাসমিয়ার মতো কঠিন রোগের চিকিৎসা এই হাসপাতাল থেকেই দেয়া হবে। উত্তরাঞ্চল করা হবে থ্যালাসমিয়া রোগমুক্ত। গোদ রোগীও আর আগামী দিনে খুজে পাওয়া যাবে না। এসব লক্ষ্যকে সামনে রেখেই হাসপাতালটিকে ঢেলে সাজানোর নতুন ভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও এই হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা সেবা, উন্নত ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, অপারেশন থিয়েটার, ডেন্টাল ও ফিজিওথেরাপির চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। হাসপাতালের ভবন সংস্কার করতে কাল ৯ জুন থেকে হাসপাতালের কাজ শুরু হবে। এজন্য ১৫ দিন হাসপাতালের অভ্যন্তরিন চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। তবে আউটডোরের চিকিৎসা থাকবে চলমান। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান তারেক অফিস সুচি মোতাবেক চিকিৎসা প্রদান করবেন।
এদিনের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ ও কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জিকো আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম, হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু, ইয়াছিন আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২০০২ সালে এ ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বের স্বনামধন্য চিকিৎসক ও ফাইলেরিয়া বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন। সে সময় ওই এলাকার দানবীর মরহুম কবির উদ্দিন সরকার ১৫ শতক জমি ওই হাসপাতালটিতে দান করেন।