

জলিলুর রহমান জনি,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধ: সিরাজগঞ্জে জামায়াতে ইসলামের উদ্যোগে প্রথম গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি ও নিরপেক্ষ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপলক্ষে এক বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট সকাল ১১ টায় এই মিছিলটি শুরু হয় সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামের কার্যালয় মেঘাই মডেল মসজিদ থেকে। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান অতিক্রম করে আলমপুর চৌরাস্তা সামনে এসে শেষ হয়।
গণমিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মানিত আমীর অধ্যাপক মাওলানা মোঃ শাহিনুর আলম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করেছে এবং আমরা এর মাধ্যমে আমাদের অধিকার আদায়ের পথে অগ্রসর হয়েছি এবং অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিকে অগ্রসর হতে হবে। তার বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করেন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, যিনি বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের দাবি আদায় করব এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাব।’
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম এবং কাজিপুর উপজেলার সম্মানিত আমির মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম স্বপন , অফিস সম্পাদক শাহাদাত হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি জনাব আলহাজ্ব হোসেন এবং সিরাজগঞ্জ জামায়াতে ইসলাম জেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট সাইদুল ইসলাম। তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এই গণমিছিলের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলাম তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করেছে এবং স্থানীয়ভাবে তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন দাবি ও স্লোগান নিয়ে শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ান।
বিশ্লেষক গণ মনে করেন, এই ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তবে এটি কেবল একটি রাজনৈতিক প্রদর্শনী নয়, বরং এটি দলের ভেতরের সংগঠিত অবস্থার প্রমাণও বটে। এই ধরনের কর্মসূচি দলের কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে এবং স্থানীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের অবস্থানকে মজবুত করতে পারে।
সিরাজগঞ্জের এই গণমিছিল স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটি নিশ্চিত যে, জামায়াতে ইসলাম তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।