শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা, নামছে সেনাবাহিনী
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সরকারি গেজেটে এই জরুরি অবস্থার কথা জানান দেশটির রাষ্ট্রপতি গোতাবায়ে রাজাপাকসে।
জননিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতেই জরুরি অবস্থার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গেজেটে জানান রাজাপাকসে।
ওই ঘটনায় প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইসাথে দেশটিতে জারি করা হয় কারফিউ।এদিকে, শ্রীলঙ্কার জাতিসংঘ প্রতিনিধি হানা সিঙ্গার হামদি সংঘর্ষে জড়িত সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দুই কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত জনজীবন।আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি, দুর্বল সরকারি অর্থব্যবস্থা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দেশটির এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
এতে লঙ্কান সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের খাত পর্যটনশিল্প ধসে পড়েছে, রেমিট্যান্স পৌঁছেছে তলানিতে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ নেমে এসেছে দুই বিলিয়ন ডলারে।
গত কয়েক বছর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ টালমাটাল ছিল। এই অবস্থায় দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। ২০২০ সালে শুরুর দুই মাসে রিজার্ভ ৭০ শতাংশ কমে যায়।
ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারে! শুধু তা-ই না, বছরের বাকি সময়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকারকে।
প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ মেটানোর জন্য রিজার্ভের ডলার বাঁচাতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। এরপর থেকেই দেশটিতে সংকট বাড়তে থাকে।
এসব সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বিক্ষোভকারীরা।