

সুবংকর রায়, ইবি প্রতিনিধি : শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকী আক্তারকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে এই মিছিল শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের—১৩-এর খুনিরা, হুঁশিয়ার, সাবধান; শাহবাগীদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; ল তে লাকী, তুই হাসিনা, তুই হাসিনা; লাকী ধর বস্তায় ভর, ভইরা দিল্লি পাচার কর; শাহবাগীরা হামলা করে, ইন্টেরিম কী করে; ওয়ান টু থ্রি ফোর, শাহবাগী নো মোর; চব্বিশের বাংলায়, শাহবাগের ঠাঁই নাই; বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৩ সালের দিকে ফ্যাসিস্টেদের গড়াপত্তন ঘটেছিল এই শাহবাগী লাকিদের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মানুষ এদের আর দেখতে চায় না। সীমান্তবর্তী ভাই বোনের অনুরোধ করছি আপনারা সচেতন হন এই শাহবাগীরা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই লাকি আক্তার’সহ শাহবাগীর মুলহোতাদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এই শাহবাগ থেকে বিরোধী দলীয় সকল নেতৃত্ববৃন্দের হত্যার নীলনকশা তৈরি হয়েছিল। ওখান থেকে দেশপ্রেমিক মানুষের হত্যা করা হয়েছিল। এর মুল কারিগর ছিল এই লাকি। তাকে এই অপরাধে ফাঁসি দন্ড দেয়া লাগবে।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরেও সরকার যখন কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই শাহবাগীরা কৌশলে সরকারে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কৌশলগতভাবে তারা অতি প্রগতিশীলতাকে ধারণ করে এদেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে। তারা বাংলাদেশ জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সর্বদা বর্তমান সরকার এবং জুলাই অভ্যুত্থানে সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। লাকি’সহ অন্যান্য শাহবাগীদের গ্রেপ্তার করে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সহ সমন্বয়ক ইসানুল ইসলাম বান্না বলেন, শাহবাগ হচ্ছে এমন একটি যেখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। যেখান থেকে শেখ হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের দ্রুতই বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, লাকি আক্তার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পরবর্তীতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সময় তিনি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণগুলো দিয়ে স্লোগান উদ্ভাবন করে জনপ্রিয়তা পান। তিনি ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনে (গণজাগরণ মঞ্চ) সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ‘স্লোগানকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ-২ আয়োজনের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করছেন এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। দ্বিতীয় গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ।