রাউজানে শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে খাদ্য”ফজলে করিম চৌধুরী এমপির উদ্যোগ মধ্যবিত্তদের ঘরেও খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন পুত্র ফারাজ করিম”
রাউজান প্রতিনিধি: করোনার এই দুর্যোগের মধ্যে রাউজানে প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রামে প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী গাড়ি। প্যাকেট করে রাখা চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্যদ্রব্য গাড়ি থেকে নামিয়ে স্বেচ্ছাসেবীরা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। জানা গেছে, সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে রাউজানের শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে। অপরদিকে সাংসদ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীও মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে উপজেলার বিভিন্নস্থানে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন, পর্যায়ক্রমে এই উপজেলায় সাংসদ ও তার পুত্রের পক্ষে ৪০ হাজার পরিবারে ত্রাণ দেয়ার পরিকল্পনা আছে। উরকিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নে ইতিমধ্যে দেড় হাজার প্যকেট খাদ্য সামগ্রীর প্যকেট বিতরণ করা হয়েছে। আরো পাঁচ শতাধিক প্যকেট বিতরণের অপেক্ষায় আছে। শ্রমজীবী সকল মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া মেম্বার, পূর্বগুজরার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, রাউজান সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু ও গহিরার চেয়ারম্যান নুরুল আবসার বাশি। তারা বলেছেন, এলাকার সাংসদ ও সাংসদ পুত্র এই দুর্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণ নিয়ে মানুষের সেবা করছেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী রাত দিন দুর্গত মানুষের ঘরে পৌঁছানোর কাজ করছেন জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীরা। পৌরসভার কাউন্সিলর জানে আলম জনি জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যে ১১ শত প্যাকেট খাদ্য দ্রব্য তার ওয়ার্ডে বিতরণ করেছেন। অবস্থার পরিপেক্ষিতে আরো বিতরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কাউন্সিলর আলমগীর আলী বলেছেন, তিনি তার ওয়ার্ডে দুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন রাতে। যাতে করে কোনো ব্যক্তি করোনায় সংক্রামিত না হয়।
এদিকে সাংসদ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী তার সংগঠন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সদস্যদের মাধ্যমে গত ১৫ দিন ধরে হাণ্ড স্যানিটাইজার, সাবান, জীবাণুনাশক দ্রব্য, মাস্ক, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের হাতে হাতে বিতরণ করে আসছেন বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। স্থানীয়রা বলেছেন, ফারাজ করিম একই সাথে অসহায় অবস্থার মধ্যে থাকা মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার বিশেষ কর্মসূচিও চালিয়ে যাচ্ছেন। সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ফারাজ করিম চৌধুরীর হয়ে তার সংগঠনের প্রতিজন সদস্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানের গিয়ে মধ্যবিত্তদের তালিকা সংগ্রহ করেছেন। এসব পরিবারে গোপনীয়তা রক্ষা করে খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে রাউজানের ১০ হাজার মধ্যবিত্ত পরিবার উপকৃত হবেন বলে তিনি দাবি করেন। জানা যায় ফারাজ করিম চৌধুরী রাউজানের রোগাক্রান্ত মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দানের জন্য দেশের এক ডজন খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর নাম ও মোবাইল নাম্বার তার নামে ফেইজবুক আইডিতে দিয়েছেন। খোলা হয়েছে এ সংক্রান্ত হেল্প ডেঙ। যেকোনো মানুষ ফোন করে এসব চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগের ব্যবস্থা পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, সরকারি ভাবে দেয়া ত্রাণ সামগ্রীর সাথে রাউজানের মানুষ সাংসদ ও তার পুত্রের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন। এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ কালে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আসছেন।
সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। তবে তিনি বলেন, দেশ ও মানুষের জীবন রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাতদিন কাজ করছেন। আমি তার সকল নির্দেশনা অনুসরণ করে দুর্গত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।