

জলিলুর রহমান জনি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: রবিবার ( ১০ ই আগস্ট) সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধে সমর্থন জানিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ।
সিরাজগঞ্জ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্দেশ্যে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ জামাত ইসলামির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সহ একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
জানা যায়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, স্থায়ী ক্যাম্পাসের অভাবে শিক্ষার মান ও সুযোগ-সুবিধা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, যার মধ্যে শ্রেণীকক্ষ ও গবেষণাগারের অভাব অন্যতম।
শিক্ষার্থীদের এই দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সিরাজগঞ্জ জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটি, জেলা গণ অধিকার পরিষদ এবং শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের সদস্যরাও এই অবরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন।
তাদের মতে, একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপিত হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অবরোধের ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
তবে আন্দোলনকারীরা জানান, তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ জামাত ইসলামির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আন্দোলন শুধু শিক্ষার্থীদের দাবি নয়, বরং এটি শিক্ষার মান উন্নয়নের একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টা। তারা মনে করেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হবে না, বরং এটি স্থানীয় জনগণের জন্য কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা আশাবাদী যে তাদের দাবি অবশেষে বাস্তবায়িত হবে এবং তারা একটি স্থায়ী ক্যাম্পাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।