ভূমিমন্ত্রী বলছেন লক ডাউন তুলে দেওয়ার কথা,মোসলেম বলছেন ভিন্ন কথা
মুজিবুল হক,সিনিয়র প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসাইন এর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামিলীগ এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে করোনা মোকাবেলায় নেতৃত্ববৃন্দের ভূমিকা ও কার্যক্রম নিয়ে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে আজ(২২-০৪-২০২০)সকাল ১০টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাংসদ এবি এম ফজলুল করিম চৌধুরী,চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফ,চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী,চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাংসদ ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেযাম উদ্দীন নদভী,চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোসলেহ উদ্দীন। এসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসাইন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের থেকে এই বিষয়ে শলা পরামর্শ নেন।ভূমিমন্ত্রী জানান -করোনা আমাদের যতটা না শারীরিক ভাবে ক্ষতি করছে তারচে বেশি মানসিকভাবে ভেঙে ফেলছে,আমরা খুব প্যানিকড হয়ে যাচ্ছি।পৃথিবীতে প্রতিটা শতকে মহামারী হয়েছে।আমরা দ্বিমুখী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি।আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ নিম্ন আয়ের,দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি তাই লকডাউন দীর্ঘস্থায়ী হলে আমরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়বো।বিজ্ঞানীরা বলছেন এর করোনার প্রতিশেধক আসতে আরো সময় লাগবে বছর দেড়েক,এই দীর্ঘ সময় লক ডাউন করে রাখা আমাদের মত স্বল্পোন্নত দেশের সম্ভব নয়।আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো আমাদের উচিত লকডাউন তুলে দেওয়া।এটা স্রেফ আমার মতামত,প্রধানমন্ত্রী বা উর্ধতন কারো না।তবে আবার লকডাউন তুলে দেওয়া মানে দেদারসে ঘুরে বেড়ানো যাবে তাও কিন্তু না।আমাদের নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে হবে। তবে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোসলেহ উদ্দীন বলছেন ভিন্ন কথা,মোসলেহ উদ্দীন বলেন করোনা একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস,আমরা লকডাউনের ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মানছি না তুলে দিলে মানবো এটার কোন নিশ্চয়তা নেই।তবে এটা করা যায় আমরা যদি প্রয়োজন অনুপাতে একটা একটা খুলতে পারি।একসাথে খুলে দেওয়া এখন সম্ভব বলে আমি মনে করিনা। এছাড়াও উপস্থিত সাংসদরা দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি,করোনা মোকাবেলায় ব্যক্তিউদ্যােগে গৃহীত কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম তুলে ধরেন।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী,চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসাইন,সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ,মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন,দক্ষিণ জেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন,চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃফজলে রাব্বী,বিএমএ সহ-সভাপতি ডাঃশেখ শফিউল আজম সহ বিএমএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।