

মোঃ শামীম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, আখাউড়া ও জেলার অন্যান্য এলাকায় হঠাৎ করে সিএনজি ও অটোরিকশা মালিক-চালক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
২৭ জুলাই (রোববার) সকাল ৮টা থেকে জেলার অভ্যন্তরে সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এই ধর্মঘট শুরু হওয়ায় কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাধারণ জনগণ চরম বিপাকে পড়ে।
সকালে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, শহর থেকে গ্রাম কিংবা গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াতের কোনো যানবাহন নেই। অনেকেই বলেন, “আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে পায়ে হেঁটে বিজয়নগরে এসেছি,” কেউ কেউ আবার বলেন, “সিংগারবিল থেকে পায়ে হেঁটে আখাউড়ায় কাজের খোঁজে গেছি।
এমনকি বিভিন্ন হাসপাতালমুখী রোগীদেরও পথে পথে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। বিশেষ করে সিজারের রোগী বা জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন এমন মানুষদের ক্ষেত্রে বিপদের শঙ্কা বেড়েছে বলেই ধারণা করছেন অনেকেই।
একাধিক অভিভাবক জানান, ধর্মঘটের কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না, শিক্ষক ও কর্মচারীরাও সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পর্যন্ত যাতায়াত সমস্যায় দিশেহারা হয়ে পরেছে।
অন্যদিকে সিএনজি ও অটোরিকশা চালকদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চালকদের একাংশ বলেন, “আমরা যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করি, তখন ট্রাফিক পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। রোগী নিয়ে গেলে গাড়ি আটকিয়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ, না দিলে গাড়ি আটক রেখে ড্রাইভারদেরকে হয়রানি করে।
এমনকি কাউতলী এলাকায় দিকে গাড়ি নিয়ে গেলে, গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া হয়, বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।”
চালক ও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, এ ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া না হলে, আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হব।”
ধর্মঘটের কারণে জেলার যানবাহন চলাচল প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ জনগণ।