বেনাপোল বন্দরে পণ্যজট, বেড়েছে আমদানি-রপ্তানি
বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ায় দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে ভয়াবহ পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে। দেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির ৭০ ভাগই হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। তবে করোনার কারনে গত বছর থেকে কমে আসে রপ্তানির পরিমাণ।
গত অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮ টন পণ্য। দুই দেশে সংক্রমণ কমে আসায় গেল কিছুদিন ধরে আবারো বাড়তে শুরু করেছে রপ্তানি।বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় বেনাপোলে স্থলবন্দরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক পণ্যজট। জটের কারণে আমদানি পণ্যের ট্রাকও বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। কর্তৃপক্ষ বলছে, ধর্মঘটের পর সয়াবিনের ভূষিসহ বেশ কিছু পণ্যের রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় বন্দরে ট্রাকের চাপ বাড়ছে। এদিকে, জট কমাতে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রপ্তানি বেশি হওয়ার কারনে বেনাপোলে পণ্য বোঝাই ট্রাকও আসছে অনেক বেশি। আগে প্রতিদিন গড়ে একশ থেকে দেড়শ ট্রাক পণ্য নিয়ে আসলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। ফলে ভয়াবহ পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে বন্দরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট, রপ্তানি গেইট, ভারতীয় টার্মিনাল, বেনাপোল পৌর টার্মিনাল, বন্দর, কাস্টমস এলাকা, বাজারসহ বাইপাস সড়ক ও যশোর-বেনাপোলের প্রধান সড়ক হয়ে শার্শা উপজেলা সদরের পল্লী বিদ্যুতের অফিস পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
এতে এলাকাবাসীর চলাচলে যেমন ভোগান্তি বেড়েছে, তেমনি যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ছেন ভারতগামী যাত্রী এবং ট্রাকশ্রমিকরাও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সয়াবিনের ভূষি, পাট, পাটজাত দ্রব্য, তৈরি পোশাক, সাবান, ব্যাটারিসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক প্রতিদিন ভারতে প্রবেশের জন্য বেনাপোলে আসছে। কিন্তু ভারত প্রতিদিন নিচ্ছে ২০০ ট্রাকের মত।
এদিকে, পণ্যজট কমাতে রপ্তানির ট্রাক সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রধান স্থলবন্দরে পণ্যজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে জমি অধিগ্রহণসহ নতুন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।