বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা।
অনলাইন ডেস্কঃ বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের ভরপাশা গ্রামের পলাশ হাওলাদারের উপরে সন্ত্রাসি হামলার অবিযোগ পাওয়া যায়।সন্ত্রাসী রুহুল আমিন এবং তার ছেলে নাজমুল নাঈম সাঈম এদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিপক্ষের জমি দখল নিয়া সাংবাদিক পলাশ হাওলাদার, তার ভাই এবং ভাবীর উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। দখলে বাঁধা দেওয়ায় সাংবাদিক ও তার ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী রাহিমা বেগম কে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এই সন্ত্রাসী হামলা হয়। জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডের ভরপাশা গ্রামের পলাশ হাওলাদারের সাথে একই গ্রামের পাশ্ববতি বাসিন্দা রুহুল আমিন সহ তার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধে জের ধরে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে রয়েছে। আজ দুপুরে গাছ কাটা নিয়ে পলাশের সাথে তাদের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুহুল আমিন, তার পরিবারের সদস্যা সহ ৬-৭ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পলাশের বাড়িতে হামলা করে জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় পলাশ তাদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে লোহার রড শাবল লাঠিসোটা নিয়ে পলাশ হাওলাদার এবং তার ভাই ও ভাবি কে গুরুতর জখম করে। পরে আহত সবাইকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রুহুল আমিন ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী রুহুল আমিন মসজিদের ওয়াকা করা জায়গা দখল করে নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরের অভিযোগ বাকেরগঞ্জ থানা এবং পৌর মেয়র বরাবর দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় জমি দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। আহত সাংবাদিক পলাশ হাওলাদার জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসী স্বপন চৌকিদারের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা জোর পূর্বক জমি দখল করে নেওয়া চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে।