

তোবারক হোসেন খোকন ,দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: মহাযষ্ঠী পুজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গাপুর উপজেলায় এবার ৬২টি পুজা মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে দুর্গাপুর পৌরশহরে অনুষ্ঠিত হবে ২১টি মন্ডপে। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা।
পৌরশহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে জানা গেছে, মন্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে পৌর যুবদলের পক্ষ থেকে ২১টি মন্ডপে পৃথক পৃথক ভাবে ২১টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে নেতাকর্মীদের। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে যাতে পুজা সম্পন্ন করতে পারে সেদিক বিবেচনায় মহাষষ্ঠী পুজা থেকে শুরু করে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত প্রহরায় থাকবে পৌরযুবদলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া সার্বিক বিষয়ে দফায় দফায় খোঁজখবর নিচ্ছেন উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নেতাকর্মীগণ।
পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু ও সদস্য সচিব সম্রাট গনির নেতৃত্বে পুজায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে, যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করা হয়েছে। ভলান্টিয়ার সার্ভিসের জন্য আলাদা পরিচয়পত্রেরও ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এই পুজায় কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ঘটালে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু বলেন, দুর্গাপুর-কলমাকান্দার তারুন্যের আইকন, কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় পৌরশহরের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পৌরযুবদলের পক্ষ থেকে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত পালাক্রমে প্রতিটি মন্ডপে অবস্থান করবে। আশা করছি সনাতন ধর্মালম্বী ভাইয়েরা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারবেন।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনি সম্পাদক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার বলেন, দুর্গাপুর হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। এখানে কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া হবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলেই আমরা ভাই ভাই। আমরা সবাই মিলে, দুর্গাপুর উপজেলা সহ পৌর শহরের পুজা মন্ডপ গুলোর নিরাপত্তায় সক্রিয় আছি। কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ভাইয়ের দিক নির্দেশনায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বিগতদিনের ন্যায় এবারও পুজা মন্ডপ গুলোতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আশা করি সুন্দর ভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্ন করতে পারবো।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন পুজা মন্ডপে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে কিছু কিছু মন্ডপে সরাসরি সাব-ইন্সপেক্টর মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদাপোষাকেও রয়েছে আমাদের চৌকস বাহিনী। সবদিক মিলিয়ে দুর্গাপুরের পরিবেশ অনেক ভালো। আশা করছি শান্তিপূর্ণ ভাবে ষষ্ঠী থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পারবো।
এসময় পৌরশহরের কালীবাড়ী পুজা মন্ডপের সভাপতি রনজিত সেন, বিএনপি নেতা এডভোকেট আহাদ, পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং পৌর যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীগণ, পুজা উদযাপন কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।