

সোহেল খান দূর্জয়,নেত্রকোনা প্রতিনিধি : এই প্রথম নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন শুরু হয়েছে। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় বাড়ছে কৃষি শ্রমিকের সংকট। বেশি অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে কৃষি শ্রমিকরা ঝুঁকছে বিভিন্ন শিল্পকারখানায়।
এ কারণে কৃষি খাতে ব্যাপক শ্রমিক সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ধান রোপণ ও কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করে।এ সংকট মোকাবিলায় যন্ত্রের ব্যবহারও বাড়ছে সমান তালে। পাওয়ার ট্রিলার ও ধান মাড়াই যন্ত্র বহুকালের পুরনো, কৃষি ক্ষেত্রে এ দুটি যন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। তবে এরই মধ্যে নতুন হিসেবে ধান রোপনে পরিচিতি পেয়েছে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’। অল্প সময়ে অধিক জমিতে স্বল্প ব্যয়ে কম বয়সী চারা লাগাতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের কোন জুড়ি নেই।
যন্ত্রটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে এবং কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে বারহাট্টা উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় সমলয় পদ্ধতিতে ৬০ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ মেশিনের সাহায্যে ধানের চারা রোপন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।বুধবার (১৯ জানুয়ারি) উপজেলার চিরাম ইউপির রায়মাধব গ্রামে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় সমলয় পদ্ধতিতে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ মেশিনের সাহায্যে ১৫০ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করে এ মাঠ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপ পরিচালক এফ এম মোবারক আলী।
এসময় উপ পরিচালক এফ এম মোবারক আলী, অতিরিক্ত উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল মালেক,জেলা কৃষি প্রকৌশলী আনজুমান আরা বেগম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ওবায়দুল হাসান খান অপু, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উচ্ছাস পাল, সহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান বলেন,‘কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় সমলয় পদ্ধতিতে এই প্রথম ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ মেশিনের সাহায্যে ধানের চারা রোপন শুরু হয়েছে।
রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ মেশিন ব্যবহারের ফলে বীজ, শ্রম ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও কমবে। বাড়বে ধানের ফলন। সনাতন পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে শ্রমিক দিয়ে খরচ হয় ১৫শ থেকে ১৮শ টাকা। এতে করে কৃষকদের অধিক মজুরি গুনতে হয়।