নওগাঁয় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীকে বিয়ে: ভাইরাল প্রধান শিক্ষক

Share the post
মির্জা তুষার আহমেদ,নওগাঁ : অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। গত বুধবার একই প্রতিষ্ঠানের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী দোলা আক্তারকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তাকে ঘরে তোলেন। এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ায় ব্যাপক তোলপাড়া শুরু হয়েছে এলাকাজুড়ে। প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মণ্ডলের ছেলে। অভিযোগে উঠেছে বাবা মুক্তিযোদ্ধা এবং ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ায় সবধরণের অপরাধ করেও পার পেয়ে যান তিনি। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রিনা আক্তার পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই সময় দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুলকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন উঠেছিল প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেন। পরে ধামাচাপা দিতে পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সে যাত্রায় রক্ষা পান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের সঙ্গে শিক্ষার্থী দোলা আক্তারকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানে একাধিক বৈঠকও হয়। বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সংবাদও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আকরাম এসবের তোয়াক্কা না করে ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যান। প্রধান শিক্ষকের এসব আচরনের কারণে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়াসহ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মণ্ডল এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। এ কারণে বাবার প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করেও তিনি পার পেয়ে যান। বারবার ছাত্রী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। প্রধান শিক্ষকের চরিত্রগত সমস্যায় ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা। স্থানীয় আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্রী দোলাকে প্রধান শিক্ষক আকরামের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের বাসায় তুলে দেন তার অভিভাবকেরা।
এর পর থেকে দোলা সেখানেই অবস্থান করছিলেন। উপায়ান্ত না থাকায় আজ বুধবার তাকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন আকরাম হোসেন। ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, ছাত্রী দোলাকে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করেছি। তাকে অনেক আগেই বিয়ে করতাম। কিস্তু বয়স সমস্যার কারণে করিনি। আমি একাধিক বিয়ে করতেই পারি,এখানে কারো কিছুই আসে যায় না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ধামইরহাট থানায় এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাণ্ডে ওসি-সহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার

Share the post

Share the postমির্জা তুষার আহমেদ,নওগাঁ :নওগাঁর ধামইরহাট থানা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র প্রশ্নপত্র তছনছ কাণ্ডে থানা পুলিশের দায়িত্ব অবহেলাতে ওসি আবদুল মালেককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৬ পুলিশকে প্রত্যাহার করলো জেলা পুলিশ। রোববার (২২ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। এ ঘটনায় নতুন ভাবে […]

তালাকের চার বছর পর সম্পত্তির লোভে স্বামীর বাড়িতে সাবেক স্ত্রী, প্রতিবাদে সাবেক স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

Share the post

Share the postমির্জা তুষার আহমেদ,নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর ধামইরহাটে বিবাহ বিচ্ছেদের ৪ বছর পর সন্তানদের অযুহাতে স্বামীর বাড়ি দখলে নেবার অভিযোগে সাবেক স্ত্রী মোছা: সুফিয়া বেগমর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাবেক স্বামী মো: ইউনুস আলী। রোববার ( ১৫ জুন ) দুপুরে নজিপুর বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন করে মো: ইউনুস আলী। ইউনুস আলী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট […]