দ্বিতীয় দফা বন্যায় চলনবিলে পানি বিপদ সীমার ৩৫/৪০সেঃমিটারের উপরে প্লাবিত।
কাওছার আহ্ম্মেদ ডাহিয়া,(সিংড়া) প্রতিনিধি। নাটোর সিংড়ায় চলনবিল অঞ্চলে দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানি বিপদ সীমার প্রায় ৩৫/৪০সেঃমিটারের উপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে। গত প্রায় ৪ মাস হলো চলনবিল বাসির জীবন থেকে দুঃখ দুর্দশা যেন কিছুতেই কাটছেনা। প্রথম দফা বন্যায় পানি বিপদ সীমার অনেক উপরে উঠে আশার কারণে জনজীবনে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল সেই ক্ষতি কোনোদিন পুরোন হওয়ার নয়।গতপ্রায় ৩০বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যা ছিলো ২০২০ইং বন্যা।
যে বন্যাতে হাজার হাজার পরিবার হয়েছিল গৃহহীন, শত-শত পরিবার হয়েগেছে নিঃস্ব। বানের পানি কমে যাওয়ায় কিছুটা সুখের আশায় বুকবেঁধে ছিলো এ অঞ্চলের বানভাসি অসহায় মানুষেরা। কিন্তুু দ্বিতীয় বারের অভাবনীয় ভয়াবহ বন্যায় আবার সর্বস্ব হারালো চলনবিলের হাজার হাজার পরিবার। গত০১/১০/২০ ইং তারিখ, সিংড়া পৌরসভার ৯নংওয়ার্ডের সোলাকুড়া নামক স্থানে এবং জয়নগর তাজপুরে বাধভেঙ্গে,ও আত্রাই নদীর বাধ ভেঙে যাওয়ার কারণে চলনবিলের বন্যার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরুকরে। আত্রাই নদীর বাধ ভেঙে যাওয়ার কারণে ১৫/২০ টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।
সব মিলিয়ে সর্বশান্ত হয় প্রায় ২৫ পরিবার।আবার নদীর বাধ ভেঙে পানি পুনরায় বৃদ্ধি পেয়ে চলনবিল অঞ্চলের, শহরবাড়ি,তাজপুর,সাতপুকুরিয়া, ইন্দ্রাশন,মাগুরা,ডাহিয়া,বেড়াবাড়ি, কাউয়াটিকরি,পারিল সহ প্রায় ২০০/২৫০ গ্রামে বন্যার পানি বিপদ সীমার প্রায়৩০/৩৫ সেঃমিটারের উপরে প্লাবিত হচ্ছে। ফলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার আবারও গৃহহীন হয়ে পরেছে। অনেক দুর্ভোগ ও দুর্দশার মধ্য জীবন যাপন করতে হচ্ছে অসহায় বানভাসি মানুষের। খাদ্যেভাব ও বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব প্রায় সব খানে।সাপের উৎপাতে আতঙ্কে ঘুমাতে পারছেনা চলনবিলের হাজার হাজার বানভাসি মানুষ। তাই এমতাবস্থায় সরকারের কাছে এবং জনপ্রতিনিধির কাছে অতীতের দুর্যোগে যেমন পাশে দাড়িয়েছে, আবার যতি সাহায্য সহযোগিতার হাত বারিয়ে দেন,এমনটা আশাবাদী চলনবিলের হাজার হাজার বানভাসি অসহায় পরিবার।