দুর্নীতির দ্বায়ে বহিস্কৃত লাইট হাউজ মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম মাও: মো: আলীকে পূনর্বহাল সংক্রান্ত সংবাদের প্রতিবাদ
বিগত আড়াই বছর পূর্বে কক্সবাজার শহরস্থ লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসায় দুর্নীতি ও অর্থ কেলেংকারী দ্বায়ে বারবার অভিযুক্ত সাবেক মুহতামিম মাও: মো: আলী মাদ্রাসার মজলিশে শুরা কর্তৃক সকল দায়িত্ব হইতে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার হয়। তার স্থলে দায়িত্ব পালনের জন্য মাদ্রাসার মজলিশে শুরার সিদ্ধান্তের আলোকে এবং বিশেষ অনুরোধে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রা:) মুহতামিম পদ গ্রহণে সম্মত হন। আমৃত্য তিনি উক্ত মাদ্রাসার মুহতামিম পদে বহাল ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছাত্র বিক্ষোভে কতিপয় চিহ্নিত ব্যক্তির ষড়যন্ত্র ও উশৃংখল ছাত্রদের দিয়ে হযরতের রুম ভাংচুর করত মানষিক টর্চার করে শহীদ করে ফেলে। হযরতের শাহাদতের পর আল্লামা আহমদ শফী (রা:) সাহেবজাদা বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাও: আনাস মাদানী কে মাদ্রাসার মজলিশে শুরার সকল সদস্যদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিগত ১৫/১০/২০২০ইং তারিখে স্থায়ী ভাবে মাদ্রাসার মুহতামিম পদে নিয়োগ করা হয়। হাটহাজারী মাদ্রাসার ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠি ও লাইট হাউজ এলাকার কতিপয় নেতা ও অতি উৎসাহি ব্যক্তির সহায়তায় মাও: মো: আলী অতর্কিত ভাবে গত শুক্রবার দিবাগত রাত অনু: ৯.০০ ঘটিকার সময় মাদ্রাসায় এসে উপস্থিত হয়। এবং লোকজন সহ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এবং স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় মাও: মো: আলী দীর্ঘদিন পর মাদ্রাসার মুহতামিম পদে পূন: বহাল হয় এবং বর্তমান মুহতামিম, মাও: আনাস মাদানী গং মাদ্রাসা হতে পলায়ন করে মর্মে সংবাদ প্রচার হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মাদ্রাসার মজলিশে শুরার বৈঠকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয় যে, সরকার নিবন্ধিত অডিট ফার্মের অডিটার নিয়োগ দিয়ে দুর্নীতির দ্বায়ে বহিস্কৃত মাও: মোহাম্মদ আলী হিসাবের তদন্ত করা হইবে। তদন্তে তিনি দ্বায়মুক্ত হলে তাকে পুন: নিয়োগের বিবেচনা করা হইবে। অন্যথায় দ্বায় স্বীকার করে মাদ্রাসার সকল পাওনা পরিশোধ করিবে, এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। কিন্তু দু:খের বিষয় হল মাও: মোহাম্মদ আলী অডিট ফার্মের অডিটারদের কাছে ছাত্রাবাস (বিল্ডিং) নির্মাণের হিসাব, ভাউচার, ক্যাশ খাতা, লেজার খাতা, ব্যাংক এস্টেটমেন্ট ইত্যাদি জমা না করে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করত: এক পর্যায়ে নিজের স্বচ্ছতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে অবৈধ টাকা ও পেশি শক্তি ব্যবহার করে মাদ্রাসার মজলিশে শুরার সিদ্ধান্ত অমান্য করে জোর পূর্বক মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। মাদ্রাসার মজলিশে শুরার সকল সদস্য উক্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতা কামনা করেন। মজলিশে শুরার সদস্যদের চাপে অদ্য বিকাল ৪ঘটিকার দিকে দুর্নীতির দায়ে বহিস্কুত মাও: মো: আলী মাদ্রাসা থেকে চলে যান। এবং অডিটারদের কাছে পরিপূর্ন হিসাব জমা দিয়ে নিজের স্বচ্ছতা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসায় তার প্রবেশাধিকার মজলিশে শুরার কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়। বর্তমানে তিনি মাদ্রাসায় কম্পাউন্ড থেকে নিজ বাড়ী চলে যান। লাইট হাউস মাদ্রসার প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হইল। বার্তা প্রেরক মজলিশে শুরা দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা, লাইট হাউজ, কক্সবাজার।