দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার কারণ জানালো র্যাব।
সুজন আহম্মেদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ আজ সন্ধ্যায় রংপুরে র্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১৩ জানায়, চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এসময় ওয়াহিদা বাধা দেওয়ায় তার উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সান্টু ও নবীরুল। এ ঘটনায় জড়িত বলে এরই মধ্যে তারা দায় স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসবাদে জানিয়েছে চুরির জন্য তারা ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন। ওয়াহিদা জেগে গিয়ে চুরিতে বাধা দেওয়ায় তার উপর হামলা চালানো হয়। তবে গ্রেপ্তারকৃতরা চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিল কিনা তা নিশ্চিত হতে অধিকতর তদন্ত চলবে। উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় এনে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ৬ সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।