তেঁতুলিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণের শাড়ি বিতরণ থেকে বঞ্চিত ইউপি সদস্যগণ
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে দেশের বিশ জেলার ন্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গরীব ও দুঃস্থদের মধ্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণের শাড়ি বিতরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বুড়াবুড়ি ও ভজনপুর ইউপি সদস্যগণ। রোববার (৩০ মার্চ) উপজেলার বুড়াবুড়ি ও ভজনপুর ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে পঞ্চগড় জেলাসহ ২০টি জেলায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে গরীব ও দুঃস্থদের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় ৮হাজার পিস ধরে ১লাখ ৬০ হাজার পিস শাড়ি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের পত্রের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা ভিত্তিক শাড়ি বরাদ্দের বিভাজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলায় পরিবহণের নিমিত্তে শর্তের কার্যাদেশ প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১হাজার পিস শাড়ি বরাদ্দ পায়।
আরও জানা যায়, উপজেলায় বরাদ্দকৃত শাড়ির মধ্যে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে ১২৫ পিস, তিরনইহাট ইউনিয়নে ১৪১ পিস, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ১৬৫ পিস, শালবাহান ইউনিয়নে ১৭৩ পিস, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে ৯১ পিস, ভজনপুর ইউনিয়নে ১৩০ ও দেবনগড় ইউনিয়নে ১৭৫ পিস বিভাজন করে দেয়া হয়।
দেবনগড় ইউনিয়নে সরেজমিনে গেলে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণকে তাদের মধ্যে বিভাজন প্রক্রিয়া করতে দেখা যায়। এরপর বাংলাবান্ধা, তিরনইহাট, তেঁতুলিয়া ও শালবাহান ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণ মিলেই এসব শাড়ি বিতরণ করেন। এদিকে বুড়াবুড়ি ও ভজনপুর ইউনিয়নে খোঁজ নিলে ইউপি সদস্যগণ এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রাইতু হক মুঠোফোনে জানান, তিনি এ বিষয়ে কোনো কিছুই বলতে পারছেননা এবং চেয়ারম্যান তাকে কোন শাড়ি দেয়নি। এরপর তিনি অন্যান্য ইউপি সদস্যগণকে জিজ্ঞাসা করার পর জানান, কেউ এ বিষয়ে বলতে পারছেননা। আমরা বিতরণের জন্য কোনো শাড়ি পায়নি। একই কথা জানান, ভজনপুর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াজ উর রহমান ও জাহের আলী।
এ বিষয়ে জানার জন্য বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারেক হোসেনকে মুঠোফোনে কল করলে কলটি রিসিভ হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, এ বিষয়ে জানতে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে মুঠোফোনে কল করলে কলটি রিসিভ হয়নি এবং তাকে নেটেও পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বলছেন অল্প বরাদ্দ তাই তিনি (ভজনপুর চেয়ারম্যান) নিজেই বিতরণ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও বলেন, ঈদের ছুটি শেষে অফিস চলাকালীন মাস্টাররোল দেখে সঠিকভাবে বিতরণ হয়েছে কিনা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।