তুরস্কে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল
বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল তুরস্কে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা ১৭ বছরের একজন বালিকাকে জীবিত এবং ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
এর আগে, বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে এবং ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আদানা মিলিটারি এয়ার বেইসে পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা আদিয়ামান শহরে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করে।
তুরস্কের আদিয়ামান শহরে ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দল। বৈরি আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েই অভিযান চালাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
তুরস্ক-সিরিয়ায় গেল সোমবারের শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অনেককে জীবিত বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীণ হয়ে আসছে জীবিত উদ্ধারের আশা। এমন বৈরী আবহাওয়ায় খাবার বা পানি ছাড়া ধ্বংসস্তূপে এতক্ষণ টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। তবে আশার খবর হচ্ছে, এখনও মিলছে প্রাণের সন্ধান। উদ্ধার হচ্ছে জীবিত মানুষ।
ধ্বংসযজ্ঞ থেকে এভাবেই জীবিত মানুষের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের উদ্ধারকর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এই দল বর্তমানে ক্যাম্প করে উদ্ধার কাজে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন আদিয়ামান শহরে।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে ৬০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল একটি বিশেষ বিমানে ঢাকা ত্যাগ করে। যেখানে থাকছেন সেনাবাহিনীর ২৪ জন, ফায়ার সার্ভিসের ১২, চিকিৎসক ১০ ও বিমানবাহিনীর ক্রু রয়েছেন ১৪ জন সদস্য। সঙ্গে রয়েছে উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগী সরঞ্জাম।