জাতির পিতার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে
বঙ্গবন্ধুর রক্তঋণ শোধ করে দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ শিরোণামে ধারণকৃত এই আলোচনা অনুষ্ঠানটি বিটিভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট জনেরা। প্রামাণ্যচিত্রে তুলে ধরা হয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক কিছু মুহূর্ত।
১৫ই আগস্টে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তার ব্ক্তব্যে বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে রক্তঋণে জাতিকে আবদ্ধ করে গেছেন, বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন।বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়। জাতির পিতার এই আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না। তিনি এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন। রক্তের ঋণে আমাদের আবদ্ধ করে গেছেন।
আমাদের একটাই লক্ষ্য, তার এই রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতা ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের পথ চলা।
তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে সময় পেয়েছেন।এই এত স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা বিধ্বস্ত দেশকে যেমন গড়ে তোলা, পাশপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করা। তিনি সেটা খুব সফলভাবে করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন।
অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, সেটা যদি বাস্তবায়ন করে যেতে পারতেন, তাহলে বাংলার মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারত। ক্ষুধা, দারিদ্র থেকে উন্নত জীবন পেতে পারত।
কিন্তু খুনিরা যে তা হতে দেয়নি, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাঙালির বিজয় চায়নি, তারাই নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে। কিছু লোক তো বেঈমানিও করে, মুনাফেকি করে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সব থেকে দুর্ভাগ্যের।