চট্রগ্রামে দেবাশীষ পাল দেবুর উদ্যেগে যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতার ৮১ তম জন্মবার্ষিকী পালিত
শেখ ফজলুল হক মনি (৪ ডিসেম্বর ১৯৩৯ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক।তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম প্রধান গেরিলা বাহিনী মুজিব বাহিনী তার নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত এবং পরিচালিত হয়।
দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক বাংলার বাণী পত্রিকা দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যুগপৎ তিনি তেজগাঁ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৭৩ সালের ২৩ আগস্ট তিনি সাপ্তাহিক সিনেমা পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৭৪ সালের ৭ জুন তার সম্পাদনায় দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস প্রকাশিত হয়। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি এর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনোনীত হন। তার রচিত গল্পের সংকলন বৃত্ত ১৯৬৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন।
আজ ৪ ডিসেম্বর এই মহান নেতার ৮১ তম জন্মবার্ষিকী।এ উপলক্ষে বন্দর নগরী চট্রগ্রামের আমানত শাহ মাজার সংলগ্ন তনজিমুল মোছলেমিন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেছেন যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু।যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ৮১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে এতিমদের মাঝে এই খাবার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ তখন ভাস্কর্য ইস্যুতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে যুবলীগই যথেষ্ঠ।শেখ ফজলুল হক মণির উত্তরসূরিরা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়া পাকিস্থানী প্রেত্মতাদের মুখোশ উম্মোচন করতে সময় নিবে না।যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যুবলীগ বদ্ধপরিকর।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা ওয়াহিদ মুরাদ রাসেল, আনিফুর রহমান লিটু, নজরুল ইসলাম, নুরনবী পারভেজ, মারুফ আহমেদ সিদ্দিকী, মো.ইউনুচ, মো.রাসেল, মাঈনুদ্দীন মাঈনু, এসকান্দর আলম, ইশরাদ ইফতেখার, মো.নাঈম, যুবায়ের হোসেন অভি, মো.ইসমাঈল, সৌরেন বড়ুয়া,ফয়সাল হোসেন, আসিফ হোসেন মিলাদ প্রমুখ।