

মাহমুদুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম বিভাগঃ ১০ মে ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৮:৩০ ঘটিকায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্তি অনুযায়ী, ডবলমুরিং থানাধীন পাহাড়তলী বাজার এলাকায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পাশে একটি ভবনের ছাদে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে এসআই শহিদুল কবির সোহাগ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন এবং পরিচয় শনাক্তে সিএমপি’র বিভিন্ন থানায় ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণ করেন।
এদিকে ০৯ মে বিকাল হতে ভিকটিম রনজিৎ দত্ত নিলক (৫৪) নিখোঁজ থাকায় তার পরিবার পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানায় খোঁজ নেন এবং পরবর্তীতে ডবলমুরিং থানায় এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। ভিকটিমের স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার (৪৯) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৩, তারিখ: ১০/০৫/২০২৫, ধারা: ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)।
এটি একটি ক্লুলেস মার্ডার হওয়ায় ডবলমুরিং মডেল থানার একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় তদন্তে নামে। মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযানে নেমে ১০ মে রাত ১১:০০ ঘটিকায় পাহাড়তলী থানাধীন এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী রুনা আক্তার ওরফে পিংকি ওরফে বিলু (৩৫) কে গ্রেফতার করে।
পরদিন ১১ মে ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে রুনার দেয়া তথ্যে তার সহযোগী ও কথিত স্বামী ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ ওরফে মিজান (৫০) কে দেওয়ানহাট এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, রুনার সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং ৯ মে বিকাল ৫:০০ ঘটিকায় রুনার বাসায় এলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর ভিকটিমের মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে পাশের একটি ভবনের ছাদে ফেলে দিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়।
এই সফল অভিযানে সিএমপি’র ডবলমুরিং মডেল থানার টিমের তৎপরতা ও পেশাদারিত্ব প্রশংসনীয়।