গঙ্গাচড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ সাব-রেজিস্টার অফিস ভবন যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা

Share the post

সুজন আহম্মেদ, রংপুর জেলা প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে সাব-রেজিস্টার অফিসের কাজকর্ম। দীর্ঘদিনেও ভবন সংস্কার না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিনের কাজকর্ম চালাচ্ছেন ওই অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। জরাজীর্ণ এ ভবনে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু প্্রাণহানি নয়, নষ্ট হয়ে যাবে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূ-সম্পত্তির নথি ও দলিলপত্র। বাহির থেকে দেখে ফিটফাট মনে হলেও ভিতরের অবস্থা খুবই নাজুক। তবে এ বিষয়ে রংপুর জেলা গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করার পরেও সাব-রেজিস্টার অফিস সংস্কারে এখন পর্যন্ত উদ্যোগ নেয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের মূল ভবনের পূর্ব দিকে ১৯৮৪ সালে নির্মিত পুরাতন আদালত ভবনের একটি কক্ষে সাব-রেজিস্টার অফিস। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা মিলে হাজারো নতুন পুরাতন নথিপত্রের স্তুপের। আবার কতোগুলো নথি কক্ষের ভেতর এক পাশ দিয়ে সাজিয়ে রাখা আছে। সেবামূলক কাজে ব্যস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু ভবনটির উপর দিকে তাকালে তার আসল দৈন্যদশা চোখে পড়ে। ভবনটির বিমের কিছু অংশ ও ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়তে শুরু করেছে। সেখান দিয়ে বেড়িয়ে আসছে রড। বিভিন্ন স্থানে ও বিমে ধরেছে ফাটল। এমন কি সাব-রেজিস্টারের কক্ষটিতে ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ছে। যে কোনো সময় তা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তারপরও এতো দলিলপত্র নিয়ে ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করছেন দলিল লেখকসহ অফিসের প্রায় ১৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা নিতে আস শতশত লোকজন। অফিসের কর্মচারীরা জানান, প্রায় সময় ছাদের প্লাস্টার ধ¦সে পড়ে। সেসব পরিষ্কার করে আতঙ্কের কাজ করতে হয়। মজমুল, জয়নাল, ছামাদ জানান সেবা নিতে গিয়ে রেজিস্টার অফিসের ছাদের প্লাস্টার খুলে তাদের গায়ে পড়েছিলো। উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টকে (গণপূর্ত) কয়েকদফা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কোন এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি । এ ব্যাপারে রংপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, তিনি দেড় মাস আগে যোগদান করেছেন। যোগদানের পর সাব-রেজিস্টার অফিসের কোন আবেদন পান নাই। নতুন করে আবেদন পেলে ব্যবস্থা নিবেন। উপজেলা সাবÑরেজিস্টার অফিসের তথ্যমতে, এ অফিসে প্রায় তিন সহ¯্রাধিক বালাম বই সংরক্ষিত আছে। আর গত অর্থবছরে এ অফিস থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এছাড়াও উক্ত আদালত ভবনে যুব উন্নয়ন অফিস ও সেটেলমেন্ট অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। সেগুলোরও একই অবস্থা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

বাংলাবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোকের সঙ্গে সাধারন জনতার সংঘর্ষ, আহত-১৪

Share the post

Share the postমুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধায় দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় সাতজনকে আটক করে পুলিশ ও বিজিবির কাছে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। সোমবার (১৬ আগস্ট) উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সিপাইপাড়া বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সংঘর্ষে ভাড়াটিয়া লোক ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান […]

তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যানের অফিসে তালা, পরিষদ আসেন না চেয়ারম্যান

Share the post

Share the postমুহম্মদ তরিকুল  ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক টাকা বিভিন্নভাবে লোকজনের কাছ থেকে নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিদিন  ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টাকা নেওয়ার জন্য ভিড় করছেন। এদিকে পরিষদে আসেন না চেয়ারম্যান। সরকার পতনের পর থেকে চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদে দু’একবার দেখা গেলেও আর দেখা যায়নি, জানান […]