খাগড়াছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ আয়না স্থাপন
খাগড়াছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে বাঁকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে বিশেষ মেটালিক আয়না। এতে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কম হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।পর্যটন নগরী খাগড়াছড়ির পাহাড়ের বুক চিরে কালো পিচের সর্পিল রাস্তাগুলোতে প্রতিদিন আট হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে। অথচ পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে বাঁকে রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি। পাহাড়ি সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে সম্প্রতি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
আলুটিলা পাহাড়ের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক থেকে শুরু করে সাজেক সড়কের পাহাড়ের বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে বসানো হয়েছে বিশেষ ধরনের মেটালিক আয়না। যাতে উভয় দিক থেকেই দেখা যাবে যানবাহনের গতিবিধি। এমন উদ্যোগে গাড়ির চালকসহ খুশি সংশ্লিষ্টরা।চালকরা বলছেন, টার্নিং এ আয়না লাগানোই তাদের অনেক উপকার হয়েছে। দূর থেকে চিহ্নিত করা যায়। বাঁকে আয়না দেওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তার প্রতিটি বাঁকে ড্রাইভাররা গাড়ি চালানোর সময় উভয় দিক থেকে যানবাহনের গতিবিধি দেখতে পাবে বলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম হবে।
খাগড়াছড়ি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ফারুক বলেন, গাড়ি চালানোর সময় চালকরা বাকের যে অংশ দেখতে পান না আয়নার মাধ্যমে তা দেখতে পাবেন। এইটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।খাগড়াছড়ির দুটি সড়কে আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে মেটালিক আয়না। এসব স্থান ছাড়াও বিভিন্ন সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ সব বাঁকে মেটালিক আয়না বসানোর আহ্বান পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রত্যেকটা মোড়ে মোড়ে যেন এই গ্লাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি জঙ্গলটাও যদি একটু পরিষ্কার করা হয় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা আরও কমে আসবে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, সড়ক ব্যবহারকারীরা এর সুফল পাচ্ছে। এর সুফল পেলে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক আয়না সড়কের বিভিন্ন বাকে লাগানো হবে।জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ১০০টিরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।