ইবিতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী 

Share the post
ইবি প্রতিনিধি: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী-২০২৫ যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩০ মে) বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতির স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ মনজুরুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব, জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরাম, সাধারণ কর্মচারী ফোরাম, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, বেগম খালেদা জিয়া হল, উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রা) হল ও ইবি ছাত্রদল।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। বিরূপ আবহাওয়া থাকলেও আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। শহীদ জিয়ার স্মরণে আজ গরীব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে আজকের দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার। জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্মরণ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে তার স্বপ্ন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধভাবে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।”
উল্লেখ্য, ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রেখে উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এদিন তাঁর আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় পবিত্র কুরআন খতম এবং বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নিচে গরীব-দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইবি কর্তৃপক্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা

Share the post

Share the postশারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী ধর্মাবলম্বী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল হক এক যৌথ শুভেচ্ছা […]

রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা

Share the post

Share the postইবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. এনামুল হকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জিয়া পরিষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ শাখা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২০ […]