আনোয়ারায় হাসপাতালের জায়গায় মাদকের আখড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি(আনোয়ারা) : আনোয়ারা পুরাতন মেডিকেলের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ বসতঘর ও মাদকের আস্তানা।
আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দীন বিষয়টি একুশে পত্রিকে নিশ্চিত করে বলেন, আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন মেডিকেলের জায়গায় পাকিজা নামে এক নারী দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ আনোয়ারা থানাকে অবহিত করি করলে থানা পুলিশ এসে কয়েকবার অভিযানও চালায়। পরিত্যক্ত এ বিল্ডিং-এ বসবাস করতে সমস্যা নেই কিন্তু এখানে গড়ে উঠেছে মাদকের আস্তানা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনোয়ারা পুরাতন মেডিকেলের বিল্ডিংগুলোতে বাসাবাড়ির মতই বসবাস করে আসছে পাকিজা বেগমের (পাইক্যনী) মেয়ে, মেয়ে জামাই ও নাতি-নাতনী এবং ছেলে সন্তানরা। সন্ধ্যা হলেই এখানে বসে মাদকের আসর।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, পাকিজার বড় ছেলে ইলিয়াছ মাদকসেবীদের আস্তানায় নিয়ে যায়, ছোট ছেলে জানে আলম চোলাইমদ ও গাঁজার প্যাকেট করে, পাকিজার মেয়ে রবিনা ও বোনের মেয়ে মনোয়ারা চোলাইমদগুলো তৈরি করে ড্রামে রাখে। নাম
প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, পাকিজার ছেলে-মেয়ের জ্বালায় আমরা স্থানীয়রা অতিষ্ট। পুরাতন মেডিকেল এলাকায় আগে পাকিজা নিজেই মাদকের আস্তানাটি চালাত। সে জেল কেটে এসে অসুস্থ হওয়ার পর তার ছেলে মেয়ে ও মেয়ের জামাইরা এই মাদকের আস্তানাটি চালিয়ে চাচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনকে আমরা স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানালেও কোন প্রতিকার পাই নি।
বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাশেম একুশে পত্রিকাকে জানান, পাকিজা (পাইক্যনী) তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার ছেলে মেয়ে সবাই মাদকের সাথে জড়িত। এদের মূল ব্যবসা মাদক।
এ প্রসঙ্গে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, পাকিজা চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী। আমরা আগেও অভিযান চালিয়ে ওর মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছি এবং গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। এখনও যদি এরকম কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিব।