ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টা,জজকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জারি।

Share the post

রাজু আহম্মেদ (নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি): এক ব্যক্তি ক্রয়কৃত জমি দখল করতে অভিনব পন্থা গ্রহণে করেছিলেন তিন ব্যক্তি। তারা ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে দখলকৃত জমিতে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন মসজিদ। অবশেষে নীলফামারী জেলা জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় নির্মাণ কাজ স্থগিত। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের ফিদা আলী মাঠ ও থিমপার্ক সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা ও জানা যায়, দখলকৃত ওই স্থানের পাশে কাদেরিয়া তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা নামে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ওই তিন ব্যক্তি। তথ্য সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল-মামুন নামে ওই ভুক্তভুগী উক্ত ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

কিন্তু তিনি সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের প্রতিবাদ করলে অভিনব কৌশলে তাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি তৈরীর মাধ্যমে অন্য একজনকে সাধারণ সম্পাদক করে উল্টো তারা ধর্মকে ব্যবহার করে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। এদিকে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সুপার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি যদি আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে তাকে আমরা সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন করে দায়িত্ব দিব। তবে তিনি কি প্রস্তাব দিবে সেটা খোলোশা করে বলেন নি। অপরদিকে আব্দুল্লাহ আল- মামুন তার জমি উদ্ধারের জন্য নীলফামারী জজকোর্টে মামলা দায়ের করলে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উক্ত আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই নালিশী সম্পত্তিতে বাদী এবং বিবাদীদের সহ সংশ্লিষ্ট অপরাপর সকলকে নালিশী সম্পত্তির আকার আকৃতি পরিবর্তন বা নির্মাণ কাজ করা বাকদে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ওই তিন ব্যক্তিসহ চারজন অংশীদার মিলে শহরের ফিদা আলী এলাকায় থিম পার্ক সংলগ্ন মোট ১৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করার উদ্দেশ্য ২০১৬ সালের ২৩ জুন রেজিষ্ট্রী বায়নাপত্র সম্পাদন করেন। তবে ভুক্তভুগী আব্দুল্লাহ আল-মামুন একাই সিংহ ভাগ টাকা দেওয়ার কারণে ১০২ শতক জমি তার এবং বাকি ৩০ শতক জমি অপর তিন জনের। কিন্তু তাদের সাথে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের মনোমালিন্য দেখা দিলে অপর তিন অংশীদার মোঃ শাহেদ আলী, মোঃ রউফ ও মোঃ আরমান হোসেন অভিনব কায়দায় ধর্মীয় অনুভুতি সৃষ্টি করে, এলাকার কিছু লোক সংঙ্গে নিয়ে তার জমি দখল করে, সেখানে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেছিলেন বলে এমনটা আমাদের ভুক্তভোগী আমাদের জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated