কিশোরগঞ্জের ওসি আউয়ালের প্রচেষ্টায় কিশোরগঞ্জ থানার এখন দৃশ্যমান এখন
মোঃ মাইনুল হক, বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলা কিশোরগঞ্জর থানার সীমানা প্রাচীরের দেয়ালে লেখা আছে, ‘পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ’সহ নানা স্লোগান। ফটক দিয়ে ঢোকার সময় হাতের ডান দিকে একটি সেবা মূলক ছাউনি।ছাউনিতে লেখা আছে নো মাস্ক নো সেবা, নো মাস্ক নো এন্ট্রি।এবং পাশের বোর্ডে লেখা আছে হেলফ ডেস্ক ও নো পার্ক। হাতের বামে ঝকঝকে পরিষ্কার নিরিবিলি জায়গায়সহ তৈরি করা হয়েছে একটা ফ্রিজিং হিমঘর।এবং থানার পিছনে গেলে দেখা মেলে মনোরম পরিবেশসহ ফুলবাগান। থানার ভিতরে ওসির কক্ষে ডুকতে চোখে পড়ে সাধারণ মানুষদের জন্য আলাদা চেয়ার, আবার মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা সংরক্ষিত আসন, প্রতিবন্ধীদের সংরক্ষিত আসন, শিশু বাচ্চাদের জন্য খেলনা চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব দৃশ্য চোখে পড়বে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানায় ঢুকলে। অথচ মাস তিনেক আগেও অনেকের বিরক্তির কারণ ছিল এই থানা প্রাঙ্গণ। সারাক্ষণ জটলা লেগে থাকার পাশাপাশি পরিবেশ ছিল নোংরা। দুর্গন্ধ থাকতো নিয়মিত। মুল ফটক দিয়ে ঢুকতে দেখা যেতো থানার চারদিকে ময়লা আবর্জনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে নোংরা পরিবেশ তৈরি হয়ে পড়ে আছে । কিন্তু সেই দৃশ্য এখন উধাও। এখন থানার পাশ দিয়ে গেলেই মন জুড়িয়ে যায়। প্রায় থানার চতুর্দিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা হওয়ায় সবার কাছে এখন দৃষ্টিনন্দন। সরেজমিনে দেখা যায়, থানার ভেতরে খালি জায়গায় লাগানো হয়েছে হরেক রকমের ফুলের গাছ। যেটি প্রকৃতিপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে যাবে। জরাজীর্ণ থানার পরিবেশ এখন বদলে গেছে। সংস্কারের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে সৌন্দর্য ও দৃষ্টিনন্দন। থানার সামনে এক পথচারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগে থানার পাশ দিয়ে আমরা ভয়ে হাঁটতাম না। ওই এলাকাটা সবসময় নোংরা থাকতো। কিন্তু বর্তমানে দায়িত্বে আসা ওসি আব্দুল আউয়াল স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমে থানা এখন দৃষ্টিনন্দন। নেই কোনো ঝুটঝামেলা,মুগ্ধকর পরিবেশ আর সৌন্দর্যের অপরুপ শোভায় পরিপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের থানার পাশে দিয়ে হেটে বেড়াতে খুবই ভালো লাগে। দেয়ালে লেখা বাণীগুলো প্রায়ই পড়ি। আসলে কিশোরগঞ্জ থানা এখন নীলফামারীর অন্য থানাগুলোর মধ্যে রোল মডেল। কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন,একটি সেবা ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে জরুরি সেবা দেওয়া হয়। এমনকি থানার সামনে একটা হিমঘর তৈরি করা হয়েছে। সামনটা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে সৌন্দর্য ফুটে তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থানার পিছন দিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে ফুলের বাগান করা হচ্ছে। যাতে থানায় ভয়ে নয়, থানার ভিতরে সৌন্দর্য উপভোগ করতেও অনেকে আসে।