নীলফামারীর ডিমলায় কয়েক দিনের ভারি বর্ষনে বন্যায় প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি।
রাজু আহমেদ (নীলফামারি জেলা প্রতিনিধি) নীলফামারীর জেলাধীন ডিমলায় গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষনে ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৭ টি ইউনিয়নে অসময়ে আশ্বিনি বন্যা দেখা দিয়েছে। গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি কমে তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে অতি বৃষ্টির কারনে তিস্তা নদী বেষ্টিত খগাখড়িবাড়ী, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিম ছাতনাই ও পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের বসত বাড়ী ও আবাদি জমি তলিয়ে গিয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।এসব এলাকায় সরকারী হিসেব অনুযায়ী ২০ টি গ্রামের ৫ হাজার ৯শ টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেকে বাড়ীতে পানি ওঠায় বসত বাড়ীর ঘর অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মেজবাহুর রহমান মানিক জানান, ইতিমধ্যে পানিবন্দি পরিবার গুলোর মাঝে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অধীনে ৪৭ দশমিক ৩শ মেট্রিক টন চাল বিতরন করা হয়েছে। এবং আরো ৫০ মেট্রিকটন চাল ও ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবারের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বন্যা দূর্গতদের মাঝে পয্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, টানা বৃষ্টির কারনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দেয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত কিছু এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা এলাকা পরিদর্শন করে পানিবন্দি পরিবার গুলির মাঝে সরকারের দেয়া বরাদ্দকৃত ত্রান বিতরনসহ সার্বক্ষনিক খোজ খবর রাখা হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও। শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৫০) ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি এবং ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট (৪৪) খুলে রাখা হয়েছে। যা দূত পানি কমতে সহায়তা করবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। এভাবে টানা বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে আরো ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এতে অনেক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।দেখা দিতে পারে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব, এবং দেখা দিতে পারে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ।