রায়পুরে মহিলা মেম্বার নাছিমার বিরুদ্ধে আশ্রয়নের ঘর বিক্রির টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ

Share the post

আব্দুল্লাহ আল মামুন, রায়পুর উপজেলা :  লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে আওয়ামিলীগ  নেত্রী ও ৭ নং বামনী ইউনিয়ন (১,২,৩)ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার নাছিমা আক্তারের বিরুদ্ধে মুজিব-বর্ষের উপহারের ঘর বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার বামনী বাংলাবাজার পাল বাড়ি আশ্রয়ন কেন্দ্রের ৩৭নং বামনি মৌজায় ১নং খতিয়ানভুক্ত ৪৪৫/২২দাগে মুজিববর্ষের সাবেক  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ( শূন্য দশমিক শূন্য  দুই শূন্য শূন্য) একর জমিসহ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমি পাকা ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করা উপহারের ৩৮নং বাড়িটি দু’দফায় বিক্রি করে মহিলা মেম্বার নাছিমা আক্তার ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ।

ভুক্তভোগী  স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় মহিলা  কিরণ কান্না জড়িত কন্ঠে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন , আমার স্বামী আমাকে রেখে চলে গেছে।  আমি মানুষের বাড়ি-বাড়ি কাজ করে কিছু টাকা জমা করে বছর দেড়েক পূর্বে ঘরের মালিক কুলসুমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় ৩৮ নম্বর ঘরটি ক্রয় করি। ঘরে উঠার পরে মহিলা মেম্বার নাছিমা আক্তার এসে বলেন,  ওনার কোঠার ঘর,  তাই ঘরে থাকতে হলে নাছিমা মেম্বারকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।  ওনারা আওয়ামীলীগ পরিবার। টাকা না দিলে আমি ঘরে থাকতে পারবোনা, তাই বাধ্য হয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে কাজ করে মেম্বারকে ২০ হাজার টাকা দেই। আপনাদেরকে জানিয়েছি বিষয়টি মেম্বারের কাছে যাওয়ার পরে আমি এখন অনেক চাপে আছি। এঘরটি থেকে যদি আমাকে বের করা হয় তাহলে আমার মাথা গোঁজার কোন  ঠাঁই থাকবে না। তাই আমি এটা নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করতে চাইনা। একটা ঘরের জন্য চেয়ারম্যান,  মেম্বার সহ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, কেউ আমাকে একটা ঘর দেয়নি। সরকারি ঘর না বুঝে কিনেছি,  এখন কয়েকদিন পরপর বিভিন্ন লোকজন এসে নানারকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এখন এই একমাত্র সম্বল ঘরটা থেকেও বের হওয়ার শংকায় ভুগছি।  আমার স্বামী নেই,  কেউ নেই, কোথায় যাবো? যেন আমাকে এই ঘরটা থেকে বের হতে না হয় তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি ।

ঘরটির বিক্রেতা কুলসুমা আক্তার বলেন, মহিলা মেম্বার নাছিমা আক্তার আমাকে ঘরটি দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবী করছিল। অনেক অনুনয় বিনয় করে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে  সরকারী ঘরটা পাই। নিজের প্রয়োজনে ফের ঘরটি কিরনের কাছে বিক্রি করি। নাছিমা মেম্বার কিরন থেকেও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন।  আমরা গরীব অসহায়,  ওনারা আওয়ামীলীগের  ক্ষমতা দেখিয়ে একটা ঘর থেকে দু’দফায় দু’জন থেকে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।  আমি আমার টাকাটা ফেরত চাই।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু ঐ ঘরটি ছাড়াও  ওই আশ্রয়নের ২২ ও ৯৩  নাম্বারসহ অসংখ্য ঘর বিক্রি করা হয়েছে।  বিষয়টি নিয়ে এলাকাতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এবিষয়ে  অভিযুক্ত মহিলা মেম্বার নাছিমা আক্তারের  বক্তব্যে জানতে তার মুঠো ফোন কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।