টানা পতনে সপ্তাহ পার ডিএসইর
সূচকের টানা পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহ পার করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইএক্স হারিয়েছে ২৬২ পয়েন্ট। এতে প্রধান সূচক গত ৩ বছর ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩১৫ কোটি । সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি দর হারিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ও লেনদেনে যে ঊধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়, তার বিপরীত চিত্রের আভাস মেলে গেল সপ্তাহে শুরুতেই। রোববার লেনদেন কমে ৯৪ কোটি টাকা আর ডিএসইএক্স সূচক হারায় ৫৯ পয়েন্ট। ধারাবাহিকভাবে পরের চার কার্যদিবসেও কমে প্রধান সূচক। সপ্তাহ ব্যবধানে মোট ২৬২ পয়েন্ট হারিয়ে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স অবস্থান নেয় ৪ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে।
২০১৬ সালের ২ মে এর পর এটিই ডিএসইএক্স এর সর্বনিম্ন পয়েন্ট। আগের সপ্তাহের গড় লেনদেনের চেয়ে ১০ কোটি টাকা কমেছে গেল সপ্তাহের দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল সোমবার ৩৭৫ কোটি টাকা। আর সর্বনিম্ন লেনদেন ছিল বুধবার ২৮০ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস কমেছে ৬৪ পয়েন্ট আর বাছাইসূচক ডিএসই৩০ হারিয়েছে ১০০ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে দর বাড়ার শীর্ষ ৫ প্রতিষ্ঠান ছিল ন্যাশনাল ফিড মিল, লাফার্জ হোলসিম, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিল এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স।
এদিকে দাম হারানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, নর্দান জুট, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স, এসইএমল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড এবং ন্যাশনাল হাউজিং।
সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৪টির, কমেছে ৩১০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম।