

মো: সবুজ হোসেন রাজা,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:বিশ্বসাহিত্যের অনন্য প্রতিভা, বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে থাকা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস (২২ শ্রাবণ) এবছরও শাহজাদপুরে কেটে গেল নিঃশব্দে, নীরবে। যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একসময় সাহিত্য চর্চা ও প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করতেন, সেই স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ীতে ছিল না কোনো সরকারি কর্মসূচি, আয়োজন বা আনুষ্ঠানিকতা। যেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতার মধ্য দিয়েই পার হয়ে গেল আরও একটি ২২ শ্রাবণ।
গত ৬ আগস্ট (বুধবার) দিনভর কাছারিবাড়ীর পরিবেশ ছিল সুনসান। সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিংবা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা বা চিঠি না থাকায় কোনো ধরনের সরকারি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান কাছারিবাড়ীর কাস্টোডিয়ান শাওলী তালুকদার।
তবে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক উদ্যোগে কিছু আয়োজন লক্ষ করা গেছে। বিশেষভাবে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শাহজাদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩–এ স্থাপিত কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথ কেবল বাংলাদেশের নয়, তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তিনি আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা, তাঁর সৃষ্টিকর্ম, চিন্তা ও দর্শন নিয়েই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হয়েছে। কবির প্রয়াণ দিবসে আমরা তাঁকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে, স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনও আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে কবিগুরুর ৮৪তম প্রয়াণ দিবস পালন করে।