

মোঃনাজমুল হাসান (অপু),বরগুনা জেলা প্রতিনিধি :কর্মস্থল ফাঁকি দেওয়া নেশা ও পেশায় পরিনত হয়েছে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গৌতম চন্দ্র বসুর। আপন ঠিকানা পটুয়াখালীর গলাচিপায় বসে বরগুনার তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সকল দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কর্মস্থলে না থাকলেও হাজিরা খাতায় তাহার নিয়মিত স্বাক্ষরের ঘটনা বিরল।
জানা যায়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করা যেন তার নেশা ও পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তার আপন ঠিকানা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা এবং কর্মস্থল বরগুনার তালতলী উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। তিনি সেখান থেকে অদৃশ্যভাবে অফিস ও স্বাক্ষর করেন। কর্মস্থল যেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সরকারি রীতিনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে নিজ এলাকায় খুটি গেড়েছেন তিনি। ছুটি না নিয়ে কর্মস্থল ফাঁকিবাজির ঘটনার নিন্দা জানায় স্থানীয় সচেতন মহল।
রোববার (পহেলা জুন ২০২৫) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তাহার কথা জিজ্ঞেস করলে অফিস সহকারীরা জানান এখন পর্যন্ত অফিসে আসেনি। হয় তো ভিজিটে আছে। পরক্ষণে তাহার সাথে কথা হলে জানা যায় তিনি গলাচিপা আছে। তবে তাহার ছুটির জন্য কোনো পত্র পাওয়া যায়নি এবং কেউ অবগত নয়।
সুশীল ব্যক্তি কেএম রিয়াজুল ইসলাম, মো. জামাল (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী) মোফাজ্জল হোসেন (অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক), ইউসুফ আলী (শিক্ষক) সহ আরও অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, তিনি অনিয়মিত অফিস করে নিয়মিত স্বাক্ষর দেখিয়ে বেতন-ভাতা তুলছেন। তাহার বাড়ি থেকে এই উপজেলা অনেক দুর হয়ে গেছে। নিজ উপজেলায় তাকে পোস্টিং করা হোক। যাতে ঘরে বসে অফিস করতে পারে।
তালতলী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গৌতম চন্দ্র বসু বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ইতিপূর্বেও যতবার ফোন করা হয়েছে তিনি ততবারই ছুটিতে আছেন বলে জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ:দা:) অলি আহাদ বলেন, ওনি এসে পৌছায়নি এখনো? ছুটি নিয়েছে কি না এবং নীতিমালা জানতে চাইলে বলেন, নীতিমালা আপনিও জানেন আমিও জানি। তাহার ছুটির বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে তার ফাঁকিবাজির মদদ দিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা অফিসের বড় কর্তারা।
বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করে কিংবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সারা মেলেনি।