রাইড শেয়ারিং করা নারীযাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক
আশিকুর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি :রাজধানীর মিরপুরের এক কর্মজীবী নারী মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে যাত্রাকালে মোটরসাইকেল চালক কর্তৃক ধর্ষণের স্বীকার হন। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে ওই চালককে গ্রেফতার করে নরসিংদীর পলাশ থানা পুলিশ।
রবিবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আটককৃত শাহ পরান (৩০) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার তারানগর বটতলী গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে বিকেল সাড়ে ৩টায় ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে রাজধানীর শ্যামলীতে যেতে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেলে উঠেন এক সন্তানের জননী ওই ভুক্তভোগী নারী। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে ওই নারীকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলাধীন ঘোড়াশালের পাঁচদোনা- টঙ্গী সড়কের পাশে কালভার্টের নিচে নির্জন স্থানে নিয়ে এসে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন মোটরসাইকেল চালক শাহপরান। এ সময় নারীর সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে তার স্বজনদের নিকট থেকেও অর্থ আদায় করেন মোটরসাইকেল চালক। পরে ভুক্তভোগী নারী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে পলাশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে হাসপাতালে পাঠান। পরবর্তীতে ২৯ মে ভুক্তভোগী নারী শাহপরানের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত অপর দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট শাহপরানকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে আটক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নানের নির্দেশে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পলাশ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হোন। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত শাহপরানকে পুলিশী প্রহরায় আদালতে সোপর্দ করলে সে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।