

সৈয়দ মাহিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রকৃতি যেন রঙিন উৎসবে মেতে উঠেছে। জারুলের বেগুনি, সোনালুর সোনালি আর কৃষ্ণচূড়ার টকটকে লাল ফুলে ছেয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণ। এই বাহারি ফুলগুলো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নিচ্ছে।
একদিকে বেগুনি জারুল, অন্যদিকে ঝুলে থাকা সোনালুর সোনালি ঝাঁক। এমনই নয়নাভিরাম জারুল-সোনালুর মায়ায় জড়িয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ষড়ঋতুর এই দেশে ঋতুর পালাবদলের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে নতুন সাজে রাঙায় রাবি। সবুজ-শ্যামলে ঘেরা এই ক্যাম্পাসে যারা পড়তে আসে, তাদের মতো পর্যটকদের মনেও প্রশান্তির দোলা দিয়ে যায় এই ফুলেল সৌন্দর্য।ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বর, পশ্চিমপাড়ার মন্নুজান ও রোকেয়া হল, পূর্বপাড়া মসজিদের সামনের রাস্তার ধারে, বধ্যভূমি এলাকার পুকুর পাড়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু অ্যাকাডেমিক ভবন, চারুকলা এবং কৃষি অনুষদসহ বহু স্থানে চোখ জুড়ানো জারুল ও সোনালু ফুল রঙ ছড়াচ্ছে।হলুদ আভার এই চত্বরে বিকেল হলেই জমে ওঠে নবীন-প্রবীণদের আড্ডা। কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত, কেউবা রোদ্দুর ছায়ায় বসে গল্পে মেতে থাকেন। তরুণীরা হলুদের ফুল খোপায় গুঁজে তোলেন ছবি, সাজেন রঙিন আবহে।জারুল, সোনালু ও কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিয়ান মিম বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসটা বরাবরই সুন্দর, তবে গ্রীষ্মের সময়টা যেন আলাদাভাবে চোখে পড়ে। প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার পথে জারুল-সোনালুর রঙ দেখে মনটাই ভালো হয়ে যায়।’বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন রোডে ছবি তুলছেন ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা অনেক দর্শনার্থী। জানতে চাইলে রাজশাহীর বর্ণালি থেকে আসা হুমাইরা আক্তার বলেন, ‘ সুযোগ পেলে আমি আসি এখানে। অনেক বিশাল আর সুন্দর এরিয়া। জারুল ফুলগুলোও দেখতে অনেক ভালো লাগছে। এই জায়গার সৌন্দর্য সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে।’আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, ‘সোনালুর হলুদ ঝাঁক আর কৃষ্ণচূড়ার টকটকে লাল ফুল—এই রঙের কনট্রাস্টটাই দারুণ লাগে। বিকেলে হাঁটতে বের হলেই মনের ভেতরে এক শান্তি কাজ করে।’