

সৈয়দ মাহিন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সাড়ির সাহসী যোদ্ধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ১১ টায় রাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা হামলা কারির ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; ‘স্যারের বাসায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘ককটেল বাজির রাজনীতি, চলবে না চলবে না ; ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সন্ত্রাসীদের বিচার চাইসহ বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাসের প্যারিস রোড প্রকম্পিত করেন।
ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, কোনো পক্ষকে আমরা দোষারোপ করবো না যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত চলমান। আমরা দেখতে চায় বিপ্লবের ৯ মাস পরে এ প্রশাসন কতোটা এ্যাকটিভ হয়েছে। আমাদের একটাই প্রশ্ন সেটা হলো, ক্যাম্পাসের তিন জায়গায় ফাঁড়ি বসিয়ে রেখেও এর ভেতর থেকে কীভাবে ককটেল নিয়ে যায়? প্রশাসনের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তারা কতোটুকু কাজ করেছে এটা প্রশ্ন থেকে যায়।
তিনি আরো বলেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, একজন শিক্ষকের যদি কোনো নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়? এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে অপরাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। আমাদের ১২ ঘন্টার যে আল্টিমেটাম আমরা চায় এ সময়ের ভেতরে প্রশাসন অনতিবিলম্বে এর তদন্ত করবে। অনতিবিলম্বে এর বিচার করতে হবে এবং অন্যান্য ইস্যুর মতো এই ইস্যুটা যেনো ধামাচাপা না পড়ে যায়।
আরেক সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। প্রশাসনের মধ্যে থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার যিনি আমাদের সাথে জুলাই আন্দোলনে কাধে কাধ মিলিয়ে অংশ নিয়েছেন৷ আমরা জানি যে রুয়া নির্বাচনে মাসউদ স্যার পদপ্রার্থী এবং রুয়া, রাকসু নিয়ে যখন আমরা জোর দাবি জানিয়ে আসছি তখনই এমন একটা হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা গেলো। এ ঘটনার পিছনে যারা আছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্যই মূলত আমাদের আজ এখানে সমাবেশে আসা। আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি কুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে সেরকম কোনো ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেনো না ঘটে, আমরা এ বিষয়ে সদা তৎপর আছি এবং যেকোনো ধরনের আধিপত্যবাদের রাজনীতি আমরা মোকাবেলা করে যাবো।
এসময়, বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ্য, এর আগে রাত সাড়ে ১২টায় দুষ্কৃতকারীরা রেজিস্ট্রারের বাসভবনের সামনে ৫-৬ টি ককটেল বিস্ফোরণ করে।