

আলমগীর হোসেন,খাগড়াছড়িঃ
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ‘শিক্ষক’ পদের চাকুরী হতে অব্যাহতি নেন খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী এলাকার যুবক মো. আবদুল হামিদ। কিন্তু অব্যাহতিপত্র স্বাক্ষর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দিলেও ভুলক্রমে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে চাকুরীর৷ মাসিক সম্মানিভাতা জমা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে চলতি মাসের ১১ই মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায জমাকৃত ১ লাখ ২৫ হাকার টাকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ফান্ডে জমা করে দেন আবদুল হামিদ। এঘটনা জানাজানি হলে সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসীত হন তিনি।
আবদুল হামিদের এই সততার পুরস্কার হিসেবে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেব প্রসাদ দত্ত। এসময় সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনসহ দপ্তরের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি একুশ মাস আগে চাকুরী ছেড়েছি। কিন্তু এই একুশ মাসের বেতন-ভাতা আমার এ্যাকাউন্টে ভুলক্রমে জমা হয়ে গিয়েছে। আমার অন্যান্য লেনদেন থাকায় বিষয়টি খেয়াল করিনি প্রথমে। সম্প্রতি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেই নিশ্চিত হলাম বেতন-বোনাসসহ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা হয়েছে আমার হিসাবে। পরে অফিসে যোগাযোগ করে মউশিক’র ফান্ডের নির্ধারিত হিসাব নম্বরে টাকা ফেরত প্রদান করেছি। আমাকে সম্মানিত করার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।