ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’

Share the post

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ কোন সিনেমার গল্প কিংবা ট্রল নয়, এবার সত্যিই চালু হয়েছে হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল। ভাইরাল এই নামটি শুনেই দিন দিন বাড়ছে গ্রাহকের সংখ্যা। লাভও হচ্ছে বেশ ভালই। আর হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলটির গ্রাহকরাও খাবারের মানে দারুণ সন্তুষ্ট। বর্তমানে পলাতক থাকা সাবেক ডিবি পুলিশ প্রধান হারুণ অর-রশীদ তার কার্যালয়ে ভাত খাওয়ানো সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে এমনিতেই বেশ আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন। তবে ছোট্ট লুবাবা হারুণ নামকে হাউন নামে উচ্চারণ করার পর দেশ-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। রাতারাতি হারুণ থেকে ‘হাউন’  নামটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর সেই ভাইরাল হাউন আঙ্কেল নামে এবার একটি ভাতের হোটেল খুলেছেন ঝালকাঠির এক তরুণ ব্যবসায়ী। ঝালকাঠির ব্র্যাকমোড়ে অল্পদিনেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’। জেলা শহরের ব্র্যাক মোড়ের এ হোটেলে প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে কৌতূহলী এবং ভোজনরসিকরা ছুটে আসেন পছন্দের খাবার খেতে। প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয় মফস্বল শহরের এই হোটেলে। তবে খাবার হোটের এমন নামের কারনে ক্ষোভ প্রকাশও করেন অনেকে।

এই হোটেলে খেতে আসা গ্রাহকরা বলছেন, সেবা-গ্রহীতাদের ভাত খাইয়ে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচিত হয়েছিলেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক কর্মকর্তা হারুন। তার নাম ব্যাঙ্গাত্মক করে রাখা এই হোটেলে যারা খেয়েছেন তার উদ্দেশ্যে দুটি। এক. আলোচনায় আসা, দুই. ভালো খাবারো স্বাদ নেওয়া। হোটেলটিতে দুপুরের খাবার খেতে আসা একজন গ্রাহক বলেন, ‘বর্তমানে ভাইরাল একটি নামের উপরে এই হোটেলের নামকরণ হয়েছে। নামটা দেখেই এখানে অনেকেই দুপুর এবং রাতের খাবার খেতে আসে। আরেকজন গ্রাহক বলেন, ‘বর্তমানে এটি ঝালকাঠির পাশের জেলাগুলোতে নামের কারণে পরিচিতি পেয়েছে। ভোজন রসিকরা খাবার খেতে প্রতিনিয়ত এখানে চলে আসছে। নামের পাশাপাশি এই হোটেলের খাবারের মানও ভালো। দুপুরের খাবারে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। দামও মানান সই।’

ভান্ডারিয়া থেকে খাবার খেতে আসা রকিব হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ভাইরাল একটি নামের উপরে এই হোটেলের নামকরণ হয়েছে। নামটা দেখেই এখানে দুপুরের খাবার খেতে এলাম।’হোটেলের স্বত্বাধিকারী ইমন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। আমার একটি হার্ডওয়ারের ব্যবসাও ছিল। দেশের পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় আমি বড় ধরনের একটি লোকসান করে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম।

তিনি আরো বলেন, ‘এলাকার মুরুব্বি ও ভাইদের সাথে আলোচনা করে হোটেল ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তীতে সকলের সিদ্ধান্তে এ হোটেলের নামকরণ করা হয়েছে। নামের কারণে হোটেলে শুরু থেকেই বেচা বিক্রি অনেক ভালো। আমাদের পাশের জেলা, উপজেলাগুলো থেকেও লোকজন এখানে খেতে আসেন। নামের কারণে আমার ব্যবসা খুব ভাল হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ইবি’র লালন শাহ হল পরিদর্শনে উপাচার্য

Share the post

Share the postইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের সার্বিক অবস্থা ও খোঁজখবর নিতে সশরীরে হল পরিদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি হল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় হলের লাইব্রেরীর জন্য নিজ অর্থায়নে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন তিনি। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর […]

ইবিতে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

Share the post

Share the postইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মুগ্ধ সরোবর এলাকায় পূবালী ব্যাংক পিএলসি কুষ্টিয়া শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর অঞ্চলপ্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জহিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া শাখার […]