নেত্রকোনার পূর্বধলায় সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি, জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে
সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা : নেত্রকোনার পূর্বধলা স্টেশন বাজারের প্লাটফর্মের সামনে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি হাঁটু পর্যন্ত হয়ে যায়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীসহ যানবাহনের চালকরা। চলাচলের সময় কাদাযুক্ত পানি দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হয়। জমে থাকা পানি পথচারী ও স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের জামাকাপড় নষ্ট করে দিচ্ছে। কখনো অটোরিকশা উল্টে যাচ্ছে, আবার কখনো যাত্রীসহ পানিতে পড়ছে ছোট-বড় যানবাহন। স্থানীয়দের অভিযোগ,স্টেশনের প্লাটফর্মে প্রবেশের মূল ফটকে গতবছর অর্ধেক অংশ কাজ করে বাকি অংশ গর্ত থেকে যায়। যাতায়াতের যতটুকু ব্যবস্থা আগে ছিল সেটুকুতে ঢালাই করার কারণে পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। পানি যাতায়াতের পথ না করেই অপরিকল্পিতভাবে আগের অংশের কাজটুকু করা হয়েছে। বাদপড়া বাকি অংশে কোনো ঢালাই কিংবা মাটি ভরাট না করার কারণে বছরের শুরুতে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্বধলা রেল স্টেশনে ঢুকার রাস্তার মাঝখানে কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমে আছে। সড়কের দুই পাশে দোকানপাট ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি দিয়ে লোকজন চলাচল করছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলাম ফারুক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। এই জায়গাটি গর্ত থাকার কারণে সেই পানি আর কোনদিকে সরে না। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে কাদাযুক্ত হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে এ দুর্ভোগে পড়েন এই সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনের চালকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন মেম্বার বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এ জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে। এক দিনের মধ্যে পানি আর কাদায় একাকার হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় জনগণের। অল্প জায়গায় মাটি ভরাট অথবা পাকাকরণ করে পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেই আর এমন হতো না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন তারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খবিরুল আহসান বলেন, আমাদের লোকজন স্থানটি দেখে এসেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার বিষয়টি সমাধানের জন্য যেখোন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।