১৩ জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ১৩ জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। শহর ও ফসলরক্ষা বাঁধসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো বানভাসি মানুষ। চরম আকার নিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট।
ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বেড়ে নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, শেরপুর, লালমনিরহাট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।পাহাড়ি ঢল ও টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ফেনীর ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে উপজেলা বাজারসহ উত্তর দৌলতপুর ও বরইয়া এলাকায়।
কিশোরগঞ্জের ৮ উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে এরই মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
বন্যার কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নেত্রকোণার ৬২টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ মানুষ। তাদেরকে উদ্ধার করা এবং ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছাতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।এ ছাড়া ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তাসহ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারীসহ কয়েকটি জেলার কয়েক লাখ বানভাসি মানুষ।
যমুনা নদীর পানি বেড়ে বগুড়া ও জামালপুরেও নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে শেরপুরে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।