ছয় জেলায় দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ
জাটকা সংরক্ষণে ১ মার্চ অর্থাৎ আজ থেকে ছয় জেলার পাঁচ ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে দুই মাসের জন্য ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার বেশ কয়েকটি নদ-নদী।
এখন থেকে আগামী দুই মাস দেশে ইলিশের অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলেদের সময় কাটছে জাল গুছিয়ে রাখার। এই পাঁচটি অঞ্চল হলো
১. চাঁদপুরের ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা।
২. ভোলার মদনপুর ও চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা।
৩. ভোলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা।
৪. শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা।
৫. বরিশালের হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এছাড়া প্রণোদনা হিসেবে প্রতি মাসে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল সহায়তা দেয় সরকার। শিগগিরই জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তবে সঠিকভাবে চাল বিতরণের পাশাপাশি এর পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জেলেদের।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রচার। অমান্যকারীরা কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ক্ষমতাবলে সরকার ঘোষিত এই পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ (২৫ সেন্টিমিটার থেকে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ) সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে।