প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি’র বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম):
সাতকানিয়া উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা নিয়ে ২৫ ফেব্রয়ারি বুধবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভায় মুখ্য উপদেষ্টা-১ হিসেবে আমার পাশাপাশি মুখ্য উপদেষ্টা-২ হিসেবে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের মাননীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীও অংশ গ্রহন করে থাকেন। ২০১৪ সাল থেকে এই দুই সাংসদের জন্য সমন্বয় সভায় আসন সংরক্ষিত থাকে এবং প্রথানুযায়ী সমন্বয় সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাংসদদ্বয়কে বরণ করে থাকেন। কিন্তু ২৫ ফেব্রয়ারি ২০২০ বুধবার অনুষ্ঠিত সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা-১ হিসেবে আমার জন্য কোন আসন সংরক্ষণ না করা এবং প্রথানুযায়ী ইউএনও কর্তৃক রিসিভ না করা এবং সভাস্থলে ঢুকে আসন না পেয়ে আমাকে বিভ্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করায় সমন্বয় কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কৈফিয়ত তলব করি। বান্দরবানের লামা উপজেলায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিদর্শনের পূর্ব কর্মসূচি থাকায় সভায় অংশগ্রহন করতে একটু দেরি হতে পারে- বিষয়টি নবাগত ইউএনও সাহেবকে অবহিত করা হয়েছিল। আমার জন্য পূর্বের ন্যায় আসন সংরক্ষণ না করে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য নবাগত ইউএনও নিজের অনভিজ্ঞতা ও অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে ক্ষমা প্রার্থনা করলে সভাস্থলে উপস্থিত মাননীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর তৎপরতায় সভার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। মোতালেব সাহেব তাঁর বক্তব্যের শুরুতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার কুমানসে ইউএনও’র পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন। মোতালেব সাহেবের অযাচিত ও অনাধিকার মূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে চরম অসৌজন্য মূলক আচরন করেন এবং তার অনুসারী চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাথে সংযুক্ত এবং আমার আসন থেকে সুযোগ সন্ধানী গুটিকয়েক ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে তিনি সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। পরে মাননীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর হ¯Íক্ষেপে সকলের অংশগ্রহনে সভার কার্যক্রম শেষ হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে দুঃস্থ-দরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থের চেক বিতরন করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মতে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটিকে এখানেই শেষ করার কথা হলেও এমএ মোতালেব সুপরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কুমানসে মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত ও মুখরোচক সংবাদ আনয়নে দেনদরবার শুরু করে।
বলার অপেক্ষা রাখেনা, দলীয় কোন্দল এবং বিভাজনের রাজনীতি সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ মোতালেবের চিরাচরিত অভ্যাস। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরও অতীতের ন্যায় সংকীর্ণতা,পরশ্রীকাতরতা ও গ্রুপিং এর রাজনীতির খোলস থেকে বের হতে পারেননি তিনি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে বিগত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর ভূমিকা সবার জানা। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আমাকে কোণঠাসা করে রাখার পেছনে তিনি যে সময় ব্যয় করেছেন তার কিয়দংশ যদি দলের স্বার্থে ব্যয় করতেন তাহলে সাতকানিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক ভিত্ আরো অনেক শক্তিশালী হতো। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে জামাত-শিবির জ্বালা, পোড়াও, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনসহ নানা জঙ্গি তৎপরতার সাতকানিয়াকে যখন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভয়ারন্যে পরিণত করে তা প্রতিরোধে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে তাঁর কোন ভূমিকা দৃশ্যমান ছিলনা। বরং নৌকার জয়কে বাধাগ্রস্থ করতে স্থানীয় জামাত-শিবিরের গোপন আঁতাতের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি আমার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরোধিতা করেন।
বিবৃতিতে ড.আবু রেজা নদভী এমপি সকল প্রকার ব্যক্তি স্বার্থ ও সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে দলকে শক্তি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বর্তমান উন্নয়নের ধারাকে বেগবান রাখার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তি-সুন্দর ও বাসযোগ্য মডেল সাতকানিয়া লোহাগাড়া গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।